#আগরতলা: ফের প্রকাশ্যে এল BJP-র অন্তঃদ্বন্দ্ব। ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস- এর আধিকারিকদের সম্মেলনে গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব যে মন্তব্য করেছেন, তা আদালত অবমাননার সমান বলে মন্তব্য করলেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক (Tripura Bjp Mla) আশিষ দাস। শাসক দলের বিধায়কের মন্তব্যে অস্বস্তিতে ত্রিপুরার পদ্ম শিবির (BJP Tripura)।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb) বলেছিলেন, ''পুলিশ তো জেল অবধি নিয়ে যাবে। কিন্তু সেই পুলিশ তো মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকে।'' মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এর আগে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ত্রিপুরায় মিছিল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৩ বার মিছিলের দিন ঠিক হলেও, প্রশাসনিক স্তর থেকে মেলেনি অনুমতি। এরপর জোড়াফুল শিবির ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেখানে প্রশাসন জানায়, আগামী ৪ নভেম্বর অবধি ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা আছে। সেই নিয়ম ভেঙেই বিপ্লব দেব সভা করছেন বলে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আর তার পরেই বিপ্লব দেবের সরকারি আধিকারিকদের সভায় এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছেন, "আমরা যাতে ত্রিপুরা ঢুকতে না পারি, তার জন্যে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের এত ভয় কেন? যেদিন ১৪৪ ধারা তুলবেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ত্রিপুরা ঢুকবেন। আর বিপ্লব দেব বলেছেন, আদালত কী বলল জানি না, কিন্তু এখানকার 'মাই-বাপ' আমি। দেখুন কী ঔদ্ধত্য।"
এই একই সুরে বিপ্লব দেবকে তীব্র সমালোচনা করেছেন তাঁর দলের বিধায়ক আশিষ দাস। তার কথায়, "এখানে বলা হচ্ছে আইনের শাসন আছে। যদিও সেটা দেখা যাচ্ছে না। এখানে একেক জনের জন্যে একেক রকম আইন। যেটা বাস্তব তার সত্যতা স্বীকার করতে হবে। আমি কারও পক্ষপাতিত্ব করছি না।" আশিষ বাবু তীব্র সমালোচনা করেছেন, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ওপর আক্রমণ এবং বামেদের পার্টি অফিস ভাঙার।
আরও পড়ুন: হঠাৎ কৌশল বদল! শেষবেলায় 'এই' পথে ভবানীপুরের 'খেলা' ঘোরাতে চাইছে BJP...
তাঁর কথায়, "উনি বলেছিলেন অতিথি দেব ভবঃ। আর আমাদের রাজ্যের গর্ব ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে উনি যখন পুজো দিতে যাচ্ছিলেন, তখন ১৩-১৪ বার আক্রমণ করা হল। বাংলা আর ত্রিপুরার সম্পর্ক মা আর সন্তানের মতো। সেখানে বাংলা থেকে আসা এই নেতার ওপর আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না।" একই সঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, " বামেদের একের পর এক পার্টি অফিস ভেঙে দিয়েছে। উনি তার সমালোচনা করলেন না। আমি সিপিএমের ঘোর বিরোধী। আমি বিজেপি বিধায়ক। তবে আইন ও গণতন্ত্র সকলের জন্যে সমান এটা মনে রাখা উচিত।"
বিজেপি বিধায়কের আক্ষেপ, ''কিছুদিন আগেই শাসক দলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক। আর মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে সরকারি আধিকারিকরা হাততালি দিচ্ছেন। এটা ঠিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর এসে দেখা উচিত, জানা উচিত এই ত্রিপুরা রাজ্যের অবস্থা কী।'' ত্রিপুরার বিজেপির নেতারা অবশ্য তাদের দলের বিধায়কের, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি৷ তবে তাঁদের ইঙ্গিত, উনি ঘাস ফুল শিবিরের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tripura Politics