আগরতলা: ২০১৮-র পুনরাবৃত্তি ২০২৩-এ৷ নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, বেলা তিনটেতেই ত্রিপুরায় ভোট দানের হার ৭০ শতাংশ ছুঁয়েছে (৬৯.৯৬ শতাংশ)৷ পরবর্তী দু ঘণ্টায় শেষ পর্যন্ত ভোট দানের হার কত দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার৷
পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় ভোটদানের হার ছিল ৯১ শতাংশের বেশি৷ ফল বেরোতে দেখা গিয়েছিল, ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি৷ অতিরিক্ত ভোট দানের হার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার দিকে যায় বলে মত দেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ যা ক্ষমতা বদলের বড় ইঙ্গিত৷ ফলে ত্রিপুরার ক্ষেত্রে কী হয়, বিপুল ভোটদানের হার আসেল মানিক সাহা সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের ইঙ্গিত নাকি বিজেপি-র দাবি মতো সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির প্রতি সিলমোহর, তা জানা যাবে আগামী ২ মার্চ৷
আরও পড়ুন: গাড়ি ভাঙচুর, মারধর! ইট-পাথর-বাঁশ! একের পর এক অশান্তি বেলাশেষের ভোটে
এ দিন সকালেই ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরার যুবসমাজকে ভোট দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছিলেন৷ পাল্টা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার দাবি করেছিলেন, ত্রিপুরার যুবসমাজ বেরিয়ে এসে ভোট দিলেই সরকার বদল হবে৷
ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসংস্থান তৈরি করতে না পারা সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে৷ তার পরেও বিজেপি-কেই এগিয়ে রাখছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ কিন্তু যেভাবে মানুষ সকাল থেকে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন, তাতে বিজেপি নেতাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য৷ সবথেকে বড় কথা, ত্রিপুরার আদিবাসী ভোট কোন দিকে যায়, তিপরামোথা কতখানি নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে, সেদিকেও নজর রয়েছে গোটা দেশের৷ একই সঙ্গে বাম কংগ্রেস জোটও বিজেপি-কে কতটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে, সেটাও দেখার৷
সব সর্বশেষ পড়ুন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন 2023 এখানে খবরনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tripura