আগরতলা: গত বছর বিধানসভা উপনির্বাচন এবং পুরভোটের সময়ে শাসক দল বিজেপি ব্যাপক সন্ত্রাস করে বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় যাতে এবার ভোটে কোনও রকম গণ্ডগোল এবং অশান্তি না হয় সেইজন্য ৩০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় চলে এসেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আগরতলা সহ ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের সঙ্গে থাকছে ত্রিপুরার পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকরাও। সাধারণ মানুষের মনে থাকা ভোট নিয়ে ভয় ভীতি দূর করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এই জন্য এখন থেকে শুরু হয়েছে ‘ফ্ল্যাগ মার্চ’।
আরও পড়ুন: আমরা চোর খেদাতে গিয়ে ডাকাত ডেকে এনেছি', বিস্ফোরক কংগ্রেসের প্রার্থী সুদীপ
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে জন্য এই ফ্ল্যাগ মার্চ করা হচ্ছে। তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে কেন সবারই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা উচিত। ভোটের দিনে যাতে সবাই ভোট দিতে যেতে পারেন সেই জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে বলেও জানানো হচ্ছে তাঁদের। আমরা যে সব সময় তাঁদের পাশে আছি সেটাও বোঝানো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।”
আগামিকাল ত্রিপুরার ষাট আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে এবং ফল ঘোষণা করা হবে ২ মার্চ। ৮০- বছরের বেশি বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অক্ষমরা যাতে নিজের ভোট ঘরে বসেই দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা থাকছে। আর, এই বারই প্রথম সেই রাজ্যের দৃষ্টিহীন ভোটারদের কথা চিন্তা করে ব্রেইল ভোটার স্লিপ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: 'সিপিআইএম, কংগ্রেস তো নেই-ই, আমার লড়াই বিজেপি-র সঙ্গে': প্রদ্যোত মানিক্য দেববর্মণ
ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক বলেন, “আমরা এখানে অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচন করানোর চেষ্টা করছি। এই জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে।”
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন, " শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হবে৷ মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন৷" অশান্তি হলে মানুষ প্রতিরোধ করবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি জানিয়েছেন, "মানুষ এবার নিজেরাই প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tripura