#নয়াদিল্লি: সাধারণতন্ত্র দিবসের লালকেল্লায় তাণ্ডবের জেরে কৃষক আন্দোলনে ভাঙন স্পষ্ট। এবার বাজেট অধিবেশনের দিনে সংসদ ভবন যাত্রার পরিকল্পনা বাতিল করলেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। লালকেল্লা তাণ্ডবে আহত হয়েছেন অন্তত ৪০০ পুলিশ। আরও একবার যাতে প্রতিবাদ সহিংস না হয়ে ওঠে সে কথা মাথায় রেখেই সংসদ ভবন যাত্রার প্রস্তাব মুলতবি রাখছে কৃষক সংগঠনগুলি। যদিও তারা জানিয়ে দিচ্ছেন আগের মত জনসভা হবে। দেশজুড়ে অনশনে বসবেন কৃষি আইন বিরোধী কৃষকরা।
গত দুমাস ধরে দিল্লি সীমানায় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছেন কয়েক হাজার কৃষক। এতদিন আন্দোলন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ছিল। সাধারণতন্ত্র দিবস এই শোক দিবসের জন্য মিছিলের রুট বেঁধে দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সঙ্গে তাদের ৩৭ টি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা আগেভাগেই জানিয়েছিলেন ট্রাক্টর নিয়ে লালকেল্লা অভিযানের কোনও অভিপ্রায় তাদের নেই। কিন্তু সাধারণতন্ত্র দিবসের সকালে ছবিটা বদলে যায়। দফায় দফায় ব্যারিকেড ভাঙে ট্রাক্টর মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। কার্যত দখল নেওয়া হয় লালকেল্লার। ওড়ানো হয় নিশান সাহিবের পতাকা। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বারংবার কৃষকদের সংযত হতে বলেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি।
এই ঘটনার পরেই অস্বস্তিতে পড়েন আন্দোলনকারী নেতারা। অন্তত ৩৭ জন নেতার নামে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। আন্দোলনকারীদের একাংশ বলেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্রের শিকার তারা। কিষাণ মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতারা আন্দোলনের সংস্রব ত্যাগ করার কথাও জানান।
এই আবহে সংসদ অভিযান করলে যে আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল মনগুলি ঘুরে যেতে পারে তা বুঝতে পেরেই ওই পথ থেকে সরে আসতে চাইছেন কৃষক নেতারা।