#শিলিগুড়ি: ফের কি বাড়বে লকডাউনের মেয়াদ? আজ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্রমেই বাড়ছে করোনার প্রভাব। দেশে ২৮ হাজারে পৌঁছেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যেও জাল ছড়াচ্ছে মারণ করোনা ভাইরাস। আর তাই লকডাউনই একমাত্র ভরসা। এই লকডাউনের জেরে সংকটে পর্যটন শিল্পও। উত্তরবঙ্গের তরাই, ডুয়ার্স, পাহাড়ের পাশাপাশি সিকিমের বড় অংশের অর্থনীতি নির্ভরশীল পর্যটন শিল্পের উপরে। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েক লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এই শিল্পের সঙ্গে। ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। সিকিম আগামী অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য আসায় নির্দেশিকা জারি করেছে। হোম স্টে ট্যুরিজম সেন্টারের অবস্থাও অত্যন্ত সংকটজনক।
নিজেদের এহেন কঠিন সময়েও দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিয়ে রাস্তায় শিলিগুড়ির বেশ কয়েকজন ট্যুর অপারেটররা। নিজেদের সাধ্য মতো পাহাড় থেকে সমতলে ছুটে বেড়াচ্ছেন ওঁরা। ওঁরা মানে তন্ময় গোস্বামী, জয়ন্ত মজুমদার, সন্দীপ রায়, সান্ত্বনু চৌধুরীরা। রাতভর শুকনো খাবার প্যাকেটিংয়ে ব্যস্ত থাকছেন। কী থাকছে সেই প্যাকেটে? চার কেজি চাল, হাফ কেজি ডাল, হাফ লিটার সরষের তেল, আলু, সোয়াবিন এবং সাবান। কেননা সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে ঘন ঘন। তাই সাবানের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে মাস্কও। রাজ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মাস্ক বা ফেস কভার পড়েই বাড়ির বাইরে বের হতে হবে। নইলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর তাই ট্যুর অপারেটররা কাপড় কিনে তৈরি করছেন মাস্ক। যা ধুয়ে ফের ব্যবহার করা যায়।
ট্যুর অপারেটার তন্ময় গোস্বামী জানান, এই বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। তাই রিয়ে পড়েছি। সাধ্য মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। পাহাড়ের একাধিক চা বাগান থেকে সমতলের মাটিগাড়ার দুঃস্থ এলাকা। আবার বন্ধ থাকা পানিঘাটা চা বাগান। সর্বত্রই ত্রান সামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছেন ট্যুর অপারেটররা। নিজেদের বিপদেও অন্যের সংকটে এগিয়ে আসা ট্যুর অপারেটারদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরবাসী।