#গুয়াহাটি: জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ৯৯.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে অসমে প্রথম স্থান দখল করেছিল সে৷ কিন্তু গোটাটাই আসলে ছিল অসৎ উপায়ে পাওয়া নম্বর৷ অন্যকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগে অসমে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী নীল নক্ষত্র দাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তার বাবা জ্যোতির্ময় দাস এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের তিন আধিকারিককে৷
গুয়াহাটির পুলিশ সুপার এম পি গুপ্ত এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন, অসমে JEE MAINS-এ প্রথম স্থান পাওয়া ওই ছাত্রের হয়ে অন্য একজন পরীক্ষার উত্তর লিখেছে৷ সেই অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তদন্তে জানা গিয়েছে, অন্য একটি এজেন্সির সাহায্য নিয়ে প্রক্সি পরীক্ষার্থীর সাহায্যে প্রথম স্থান দখল করেছিল ওই ছাত্র৷ গুয়াহাটি পুলিশের শীর্ষকর্তা আরও জানিয়েছেন, গুয়াহাটির ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের আধিকারিক এবং কর্মীদের কয়েকজনও এর সঙ্গে যুক্ত৷ পুলিশের অনুমান, শুধু একজন ছাত্রই নয়৷ আরও অনেকে এই অসাধু উপায়ের সাহায্য নিয়েই পাশ করে থাকতে পারে৷ ফলে এর পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে৷ এই কারবারের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ৷ ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হবে৷
গত সপ্তাহেই একটি ফোনের কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায়৷ তাতে রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে প্রথম স্থান পাওয়া নীল নক্ষত্র দাসকে নিজ মুখেই অন্যের সাহায্য নিয়ে পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার কথা স্বীকার করতে শোনা যায়৷ এই ফোন কলের ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের করেন মিত্রদেব শর্মা নামে এক ব্যক্তি৷
অভিযোগ, পরীক্ষাকেন্দ্রে যিনি ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব ছিলেন, তিনিও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত৷ অভিযুক্ত ছাত্র পরীক্ষার দিন গিয়ে খাতায় শুধু নিজের নাম এবং রোল নম্বর লিখে আসত৷ পরে সেই খাতাই বাইরে চলে যেত৷ সেখানে উত্তর লিখে দিত অন্য কেউ৷ অসম পুলিশের তরফে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি-কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।