#নয়াদিল্লি: ভারতে ট্যুইটারের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক গ্রেফতার হতে পারেন যখনতখন। কেন্দ্রের দাবি, ভারতে কাজ করতে হলে ভারতের আইন মানতে হবে, নিষিদ্ধ করতে হবে সেই ট্যুইটার অ্যাকাউন্টগুলিকে যা কৃষি আন্দোলন ও কৃষি আইন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। অন্যথায় আইনি রাস্তাতেই হাঁটবে ভারত সরকার। উল্লেখ্য ট্যুইটার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখাও করেননি কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর অভিযোগ, ট্যুইটার দুমুখো নীতি নিয়ে চলছে।
সম্প্রতি আইটি আইন (৬৯এ) অনুযায়ী পাঠানো ভারত সরকারের নোটিস ট্যুইটার অমান্য করায় তিক্ততা আরও বেড়েছে। বুধবার কড়া ভাষায় ট্যুইটারকে কেন্দ্র জানায়, এ দেশে কাজ করতে হলে এই দেশের আইন অনুযায়ীই পদক্ষেপ করতে হবে। পাশাপাশি কু নামক দেশি অ্যাকাউন্টের সর্বাত্মক প্রচারও শুরু হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কু ব্যবহার কর তথ্য আদানপ্রদানও শুরু করেছেন।
কেন্দ্রের দাবি, কৃষি আন্দোলন সম্পর্কে বহু ট্যুইটে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। এমন অপতথ্য সম্বলিত ১১৭৮টি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু ট্যুইটার বলছে, এই ভাবে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা গণতন্ত্র বিরোধী। তাঁরা নির্দিষ্ট ট্যুইট ব্লক করতে পারে, বা অ্যাকাউন্টের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে, কিন্তু সরকারের অঙ্গুলিহেলনে কোনও ব্যক্তির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করতে চায় না তারা। পাশাপাশি আইন লঙ্ঘন যাতে না হয় সে ব্য়াপারে তাঁরা খেয়াল রাখবে বলে দাবি করছে ট্যুইটার। সামাজিক অশান্তি তৈরি করতে পারে এমন হ্যাশট্যাগ তৈরিও আটকাবে তাঁরা। তৈরি হবে নয়া গাইডলাইন।
সরকারের বক্তব্য, ট্যুইটার নিজস্ব গাইডলাইন তৈরি করতেই পারে। কিন্তু ভারতে কোনও বানিজ্যিক সংস্থা কাজ করতে চাইলে তাকে ভারতীয় আইন মানতে হবে।