#আগরতলা: দল বড় বালাই। তাই ত্রিপুরায় তৃণমূল সিঁদ কাটা শুরু করতেই দলভাঙা রুখতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। বিপ্লবের বিরোধী শিবিরের নেতা বলে পরিচিত সুদীপ রায়বর্মণরা এক সময়ে দিল্লিতে ধর্না দিলেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে বা কথা বলতে রাজি হয়নি বিজেপির শীর্ষনেতারা। বুধসন্ধ্যা থেকে তাঁদের সঙ্গে কথা চালালেন বিএল সন্তোষ, অজয় জামওয়ালরা। কিন্তু তাতে চিঁড়ে কি ভিজল!
মুখে কুলুপ সুদীপ রায়বর্মনের। বললেন, যা বলার প্রেসিডেন্ট বলবে। আমরা বলার কেউ নই। বিজেপি ছাড়ছেন কিনা এই প্রশ্ন উঠতে রীতিমতো চটেও গেলেন সাংবাদিকদের উপর। মুকুল রায়ের ভাবশিষ্য, সদাহাস্যময় সুদীপের নীরবতাই জল্পনা তৈরি করছে। কিছুই ভাঙতে চাইলেন না রামপ্রসাদ পালও। বললেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এসেছিল ভালো খারাপ থাকবেই কী ভাবে কাজ করা হয় দেখছি। ত্রিপুরা বিজেপি সভাপতি মানিক সাহার কথায়,কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এসেছিল। ভালো খারাপ থাকবেই, কী ভাবে কাজ করা হয় তাই নিয়েই কথা হয়েছে। কী ভাবে আগামী দিনে দলকে শক্তিশালী করা যায় এই নিয়ে কথা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন অজয় জামওয়াল। তাঁর মতে করোনার মধ্যে কী ভাবে দল কাজ করেছেন, কী ভাবে ভবিষ্যতে সংগঠনকে আরও মজবুত করা যায়, তাই নিয়েই কথা। এক কথায় বললে সকলেই বৈঠক সম্পর্কে ভাসা ভাসা উত্তরই দিচ্ছেন, আর জল্পনা তাই নিয়েই। যদি তেমনটাই হয়ে থাকে, তবে হঠাৎ এই সময়কেই বেছে নেওযা কেন ত্রিপুরা আসার ব্যাপারে! তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় তৎপর হতেই কেন ময়দানে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব?
উল্লেখ্যে বুধবারই বি এল সন্তোষ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা পৌঁছে গিয়েছেন ত্রিপুরায় । দফায় দফায় বৈঠক করছেন বিপ্লব বিরোধী নেতাদের সঙ্গে। এর আগে বহুবার বিপ্লব বিরোধী নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে দরবার করেছেন, চলে গিয়েছেন দিল্লিতে কিন্তু কোনও ফল হয়নি । সঙ্গত কারণেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে তৃনমূলের ত্রিপুরা মুখর হতেই এই তৎপরতা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।