#ত্রিপুরা: একুশের ২১। তৃতীয় বার বিপুল জনমত নিয়ে এবার বাংলায় ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল, তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জিতেই জানিয়েছিলেন, ২১ জুলাই হবে বিজয় উৎসব। কিন্তু বাধ সেধেছে করোনা পরিস্থিতি। তাই ভিড়ে ঠাসা সভার বদলে এবার ভার্চুয়াল জমায়েতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃতীয় বার বাংলার ক্ষমতা দখল করে এবার তৃণমূলের নজরে দিল্লির ক্ষমতা দখল। বিরোধীদের মধ্যে মুখ হয়ে উঠেছেন মমতাই। এই পরিস্থিতিতে এ বছর ২১ জুলাই দিল্লি সহ আরও বেশ কিছু রাজ্যে ঘটা করে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। আর সেই রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব তৃণমূল দিচ্ছে ত্রিপুরাকে।
সেই গুরুত্ব এতটাই যে শুধুমাত্র ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি নিয়ে বড় ভাবনা নিয়েছে তৃণমূল। এদিনই ত্রিপুরা থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে আশিস লাল সিংহকে। ত্রিপুরা তৃণমূলের এই নেতা জানিয়েছেন, ধর্মনগর, উদয়পুর সহ ত্রিপুরার পাঁচটি জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনানো হবে। ২১ গোটা দিনভর ত্রিপুরায় একাধিক কর্মসূচিও নিয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল।
২৭ বছরে পা রাখা একুশে জুলাই (21 July) এবার রাজনীতি এবং আঙ্গিক, দুই দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ তৃণমূলের কাছে। কারণ বাংলা দখলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য এবার দিল্লির মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে উৎখাত করা। সে কথা তিনি বারবার বলেওছেন প্রকাশ্যে। সেই লক্ষ্যে এবার ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিকেও জাতীয় স্তরে নিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ত্রিপুরাকে। বিপ্লব দেবের রাজ্যে এমনিতেই প্রবল গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়েছে বিজেপিতে। ভেস্তে গিয়েছে বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকও। বিজেপির বিদ্রোহী নেতা সুদীপ রায় বর্মন-সহ একাধিক নেতা সেই বৈঠকে আসেননি। বিজেপির কর্মসূচি থেকে নিজেকে গুটিয়েই নিয়েছেন সুদীপ ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি নেতার তৃণমূলের আগমন নিয়ে প্রবল জল্পনা চলছে ত্রিপুরায়। এই পরিস্থিতিতে ২১ জুলাই কর্মসূচিকে ঘিরে যেভাবে ত্রিপুরায় সাজো সাজো রব তৃণমূলে, তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।