#আগরতলা: 'খেলা' শুরু হয়ে গিয়েছে ত্রিপুরায়। একদিনের ত্রিপুরা সফরে গিয়েই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন এবার অন্য লড়াই। সেই সূত্রেই গাড়িতে হামলার পরও হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক জানিয়েছেন, বারবার ত্রিপুরা আসবেন না। তবে, সেই তা যে শুধুই কথার কথা নয়, 'বদলে যাওয়া' তৃণমূলের কর্মসূচিতেই তা স্পষ্ট। বুথস্তরে সংগঠন পোক্ত করতে হবে বলে দলীয় নেতাদের বারবার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। আর ঠিক সেই পথেই তাঁর সেনাপতি হয়ে যেন ত্রিপুরার কাজ সামলাচ্ছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বুধবার ত্রিপুরায় পা রেখেই কুণাল দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা ত্রিপুরার প্রবাদপ্রতিম বাম নেতা অজয় বিশ্বাসের সঙ্গে। কুণালের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরেই অজয় বাবু বলেন, 'সিপিএমকে যারা ভরসা করতেন, সেই কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, কর্মচারীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিজেদের বন্ধু ভাবছেন। পশ্চিমবঙ্গে এই কারণে সিপিএম শূন্যে নেমেছে। ত্রিপুরাতেও বামেদের পিছনে ফেলে বিজেপির মোকাবিলায় বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে তৃণমূল। বাকিটা মানুষ বিচার করবেন।' অর্থাৎ, বামেদের ঘরে যে এবার থাবা বসাতে চলেছে তৃণমূল, তা বলাই বাহুল্য। এমনকী তৃণমূলের সঙ্গে জোট সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেননি ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
ত্রিপুরা: শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, উদ্বাস্তু-নমঃশূদ্ররা চরম ভাবে অবহেলিত। বামেরা ভুলে গিয়েছে। বিজেপি ডোবাচ্ছে। দলীয় রাজনীতি পরে। আগে নিজেদের অধিকার রক্ষায় @MamataOfficial-এর নেতৃত্বে @abhishekaitcর সেনাপতিত্বে মানুষের মহাজোটকে সমর্থন জানান। তৃণমূল আপনার পাশে থেকে লড়াই করবে।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 5, 2021
ত্রিপুরা: নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ ও উদ্বাস্তু সংগঠনের সঙ্গে বিধানসভা কেন্দ্রওয়াড়ি বৈঠক। তাঁরা অবহেলিত। তাঁদের থেকে মন্ত্রী নেই। বড় দায়িত্ব দেয় না বিজেপি। বাংলার মত উন্নয়নের বোর্ড নেই। ফলে চাই তৃণমূলের নেতৃত্বে মানুষের মহাজোট। হবে বুথভিত্তিক সংগঠন। pic.twitter.com/4Ya6MD3I5A
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 5, 2021
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।