হোম /খবর /দেশ /
পরিকল্পনা পাকা, বিশেষ লক্ষ্যেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের দুই তাস সুজাতা-জয়া!

Tripura Politics | Sujata Mondal: পরিকল্পনা পাকা, বিশেষ লক্ষ্যেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের দুই তাস সুজাতা-জয়া!

আগরতলায় সুজাতা-জয়া

আগরতলায় সুজাতা-জয়া

Tripura Politics | Sujata Mondal: আগরতলায় পা রেখেই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলে অভিযোগ করে বিপ্লব দেবের সরকারকে উৎখাতের ডাক দিলেন সুজাতা মণ্ডল ও জয়া দত্ত।

  • Last Updated :
  • Share this:

#আগরতলা: ত্রিপুরার তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। ত্রিপুরার মাটিতে পা না রেখেও এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন সুজাতা। আর এবার তাঁকে সরাসরি ত্রিপুরার মাটিতেই পাঠিয়ে দিল দল। আর আগরতলায় পা রেখেই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলে অভিযোগ করে বিপ্লব দেবের সরকারকে উৎখাতের ডাক দিলেন সুজাতা। একইসঙ্গে মহিলা ভোটকে পাখির চোখ করে সুজাতা, জয়া দত্তদের মতো মুখকেই বিজেপি শাসিত রাজ্যে ব্যবহার করতে চাইছে এ রাজ্যের শাসক দল।

বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা। পারিবারিক বাক বিতণ্ডায় দুজনের মধ্যে এখন বিস্তর ব্যবধান। সুজাতা এখন তৃণমূলের ভরসাময় মহিলা মুখ। সেই তিনিই আগরতলায় দাঁড়িয়ে বললেন, 'সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ বিপ্লব দেবের সরকারকে উৎখাত করতে। বাংলায় যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এখানেও মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জয় বাংলার মতো এখানেও স্লোগান উঠবে জয় ত্রিপুরা। বিপ্লব দেবের সরকারের আমলে ত্রিপুরার মানুষ বঞ্চিত, অত্যাচারিত।'

তৃণমূল যে শুধু ভোটে লড়ার জন্য নয়, বরং ত্রিপুরা দখল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুজাতা। তাঁর কথায়, 'আমাদের একটাই লক্ষ্য, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ বিজেপি সরকারকে উৎখাত করা। আমাদের যেভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে, তাতে আমরা ভয় পাব না। আমাদের যদি এতই গুরুত্ব না দেয় বিজেপি, তাহলে এত আক্রমণ কেন? আমরা বিজেপিকে ভয় পাইনি। আমরা সাংগঠনিক দিক থেকে তৈরি হয়ে গেছি। ২০২৩-এ ত্রিপুরায় সরকার গড়ছে তৃণমূলই। ত্রিপুরার মা-বোনেদের আশীর্বাদ নিয়ে তৃণমূলই সরকার গড়ছে।'

অপরদিকে, ত্রিপুরার মাটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর ফের সে রাজ্যে পা রেখেছেন তৃণমূল যুব নেত্রী জয়া দত্ত। সুজাতার সঙ্গেই ফের আগরতলায় গিয়েছেন তিনি। ত্রিপুরায় আক্রান্ত হওয়ার পর আইনি লড়াইয়ে তাঁদের জিতিয়ে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর জয়া ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে ভর্তি ছিলেন অপর যুব নেতা সুদীপ রাহাও। অবশেষে ফের ত্রিপুরায় পা রাখলেন জয়া। এরপরই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, "বারবার আসা যাওয়া চলতে থাকবে আমাদের।কেউ আটকাতে পারবে না আমাদের। জানি আবার মামলা করবে আমাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না আমাদের। যতই আমাদের উপর পরিকল্পিত অত্যাচার করুক, ত্রিপুরায় আমাদের আটকানো যাবে না।"

Published by:Suman Biswas
First published: