#আমেদাবাদ: গুজরাতে হাত ও পদ্মের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ৷ ফলাফলে বিজেপি বাজিমাত করলেও চমকে দিয়েছে কংগ্রেস ৷ গেরুয়া ঝড়ের মাঝেই কড়া টক্কর দিলেন রাহুল গান্ধির দুই সেনাপতি জিগ্নেশ মেবানি ও অল্পেশ ঠাকুর ৷ দীর্ঘ বাইশ বছর ধরে গুজরাতের ক্ষমতায় বিজেপি। কিন্তু, নির্বাচনী ময়দানে এবার তা কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। মোদি ৪১টি জনসভা করেও হাতছাড়া হয়েছে প্রায়
ভোটগণনায় বিজেপি এগিয়ে থাকলেও, গেরুয়াশিবিরের নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে কংগ্রেসের উত্থান। গতবার ১৮২টি আসনের মধ্যে ১২১ টি অসন শেষপর্যন্ত পায় বিজেপি। কংগ্রেসের হাতে ছিল ৬১টি আসন। কিন্তু এবার সেই হিসেব উল্টে দিয়েছে হাতশিবির।
গতবারের থেকে ভাল ফল করেছে কংগ্রেস । পতিদার ও প্যাটেল প্রভাবিত সৌরাষ্ট্রে কংগ্রেস ভাল ফল করবে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে ভোটগণনার ট্রেন্ড।
দীর্ঘ বাইশ বছর ধরে গুজরাতের ক্ষমতায় বিজেপি। কিন্তু, এবার তা কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের ঢক্কানিনাদের আড়ালে চাপা পড়ে থাকা গ্রামীণ গুজরাতের উন্নয়নই ভোটের ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। সেইসঙ্গে জোরদার হয় পতিদার ও প্যাটেলদের সংরক্ষণের আন্দোলনও। সব ফ্যাক্টরকে একসূত্রে গেঁথে বিজেপি বিরোধিতায় নামেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। পরিস্থিতি আঁচ করে গড় রক্ষা করতে নিজেই নামেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এমনকী অমিত শাহকেও ভোটপ্রচারের ময়দানে ততটা দেখা যায়নি। কংগ্রেসকে রুখতে শেষপর্যন্ত জাতীয়তাবাদের প্রশ্নেও ঘা দিতে হয় তাঁকে। ভোটে জিততে কংগ্রেস পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ তোলেন তিনি। নিজের ক্যারিশমায় মোদি গুজরাতের ধস অনেকটা রক্ষা করতে পেরেছেন বটে। কিন্তু, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে, গুজরাতের বিধানসভা ভোটের ফল বড়সড় ইঙ্গিত দিয়ে গেল।