#চণ্ডীগড়: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ নিলেই বিনামূল্যে ছোলা বাটুরে! COVID-19 ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়া মানুষদের বিনামূল্যে ছোলে বাটুরে খাওয়াচ্ছেন চণ্ডীগড়ের একজন বিক্রেতা। বছর পঁয়তাল্লিশের বিক্রেতা সঞ্জয় রানা, ২ টি ডোজ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে যে ‘আত্মতৃপ্তি’ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি জানান বুস্টার ডোজ নিচ্ছেন না অনেকেই।
এক বছর আগে, সঞ্জয় সেই মানুষদের বিনামূল্যে ছোলে বাটুরে খাইয়েছিলেন যাঁরা COVID-19 ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর মাসিক ‘মন কি বাত’ রেডিও সম্প্রচারে চণ্ডীগড়ের এই ব্যক্তির প্রশংসাও করেছিলেন।
আরও পড়ুন- দেশবাসীকে বিশেষ আবেদন নরেন্দ্র মোদির, "২-১৫ অগাস্ট নিজের ডিপি রাখুন জাতীয় পতাকা"
“সঞ্জয় রানা জির ছোলে বাটুরে বিনামূল্যে খেতে হলে আপনাকে প্রমাণ দেখাতে হবে যে আপনি ওই দিনে টিকা নিয়েছেন। আপনি তাঁকে টিকা নেওয়ার মেসেজ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সুস্বাদু ছোলে বাটুরে খেতে দেবেন,” বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বলা হয় যে সমাজের ভালোর জন্য কাজ করতে হলে সেবা ও কর্তব্যবোধের প্রয়োজন। আমাদের ভাই সঞ্জয় তার সঠিক প্রমাণ।”
সঞ্জয় রানা একটি খাবারের স্টল চালান এবং সাইকেলে ছোলে বাটুরে বিক্রি করেন। গত ১৫ বছর ধরে তিনি এই স্টলটি চালাচ্ছেন। তিনি জানান, তাঁর মেয়ে ঋদ্ধিমা এবং ভাগ্নি রিয়া গত বছর তাঁকে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের বিনামূল্যে ছোলে বাটুরে খাওয়ানোর পরামর্শটি দেন।
তৃতীয় ডোজ নেওয়ার অনীহার বিষয়ে উদ্বিগ্ন সঞ্জয় রানা পিটিআইকে জানান, “যারা ওই দিনে বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রমাণ দেখাচ্ছেন আমি তাঁদের বিনামূল্যে ছোলে বাটুরে দিচ্ছি।” নিজেও অবশ্যই বুস্টার ডোজ নিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরের বাসিন্দা সঞ্জয়।
আরও পড়ুন- 'নিজেকে লেখা চিঠি': প্রকাশের পথে কবি নরেন্দ্র মোদির গুজরাতি কবিতার ইংরাজি অনুবাদ
“ইতিমধ্যেই আমরা দেশের অনেক জায়গায় সংক্রমণের সামান্য বৃদ্ধি দেখছি। পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের কেন অপেক্ষা করব? ২০২১ সালের এপ্রিলে যে ধরনের পরিস্থিতি হয়েছিল তা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত,” বলেন সঞ্জয়।
তিনি জানান, গত বছর মে থেকে সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে বিনামূল্যে ছোলে বাটুরে খাইয়েছেন তিনি এবং এইবারও কয়েক সপ্তাহ বিনামূল্যে খাবার দিতে তাঁর আপত্তি নেই। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন সঞ্জয়, বাবা মারা গেলে পরিবারের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এসে পড়ে। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের দেখাশোনা করতে হয়েছিল তাঁকেই। “ছোটবেলায় আমার খুব ইচ্ছা ছিল দেশের সেবা করার এবং সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেওয়ার। কিন্তু ভাগ্যে ছিল না। এখন আমি আমার কাজটি অন্যভাবে করতে চাই, এতে আমি অনেক তৃপ্তি পাই,” বলেন সঞ্জয় রানা।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী ৬৮,৯৭,৬২,১৫২ জনের মধ্যে মাত্র ৭,৩০,৯৬,২৮৪ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus COVID 19