#দেহরাদুন: উত্তরাখণ্ডে চামোলি জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে অলকানন্দ নদীর উপর শুরু হয়েছে প্রবল তুষারধস। রবিবার সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ ধৌলিগঙ্গা নদীতে ভয়ঙ্কর বন্যা হয়েছে৷ আট বছর আগের কেদারনাথের স্মূতি ফিরিয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়৷
এই ঘটনায় যে বিষয়গুলি আপনার জানা প্রয়োজন:
১) ১৫০ জনের ওপর শ্রমিক নিখোঁজ৷ যাঁরা ঋষিগঙ্গা নদীর উপর তৈরি হওয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন৷ রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (State Disaster Response Force, SDRF) ডিআইজি ঋদ্ধিম আগরওয়াল জানিয়েছেন যে, বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত নিখোঁজ শ্রমিকদের সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না৷
২) পাউরি, তেহরি, রুদ্রপ্রয়াগ, হরিদ্ধার ও দেহরাদুনের মতো উত্তারখণ্ডের একাধিক জেতা ক্ষতিগ্রস্থ৷ সেখানে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট৷ রাফটিং বন্ধ করা হয়েছে ঋষিকেশে৷ উত্তরাখণ্ড পুলিশকে উদ্ধৃত করে দৈনিক ভাস্কর জানিয়েছে যে, শ্রীনগর, ঋষিকেশ ও হরিদ্বারে জলের স্তর বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে৷
৩) দৈনিক ভাস্কর আরও বলেছে যে, তপোবন ব্যরেজ, শ্রীনগর ও ঋষিকেশ বাঁধেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷
৪) উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিবেন্দ্র সিং রাওয়াত মানুষকে পুরনো বন্যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলেছেন৷ তিনি মানুষকে গঙ্গার কাছে আসতে বারণ করেছেন৷ সব জেলায় সতর্কতা জারি করেছেন৷ রাওয়াত এদিন নিজের যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করে দিয়েছেন৷
৫) আকস্মিক এই বন্যার কথা ভেবে উত্তরাখণ্ড সরকার সকল জেলাশাসককে সতর্ক থাকতে বলেছেন৷ তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গঙ্গা নদীতে যেন হাই অ্যালার্ট জারি করে ২৪ ঘণ্টা জলের স্তরের ওপর নজর রাখা হয়৷
৬) উদ্ধার কাজে রয়েছে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (Indo Tibetan Border Police, ITBP) জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (National Disaster Response Force, NDRF) ও রাজ্য বিপর্যয় রেসপন্স ফান্ড (State Disaster Response Fund, SDRF)৷ এয়ারলিফ্টের ব্যবস্থার জন্য ইতিমধ্যে তিনটি হেলিকপ্টার পৌঁছে গিয়েছে৷ দুটি এমআই ১৭এস (Mi-17s) ও একটি ধ্রুব (ALH Dhruv) কাজ করছে৷ প্রয়োজনে আরও হেলিকপ্টার কাজে লাগাবে ভারতীয় সেনা৷ ইতিমধ্যে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় দেশের ৬০০ সেনা উদ্ধারকার্যে রয়েছেন৷