#নয়াদিল্লি: করোনার থাবায় বিশ্ব জুড়ে ধুঁকছে পর্যটন শিল্প। গোটা একটা বছর জুড়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই ক্ষেত্র। অন্য ক্ষেত্রগুলি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ালেও, পর্যটন ক্ষেত্র সে ভাবে চাঙ্গা হতে পারেনি। কারণ এখনও নানা প্রান্তে সংক্রমণ রয়েছে। জারি রয়েছে একাধিক বিধি-নিষেধ। ভ্যাকসিনের ভরসায় বুকে বল ফিরে পেলেও, মানুষজন এই মুহূর্তেই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এর জেরে পর্যটন শিল্পের ঘুরে দাঁড়াতে আরও একটু সময় লাগবে।
এই পরিস্থিতিতে কোন পথে দেশের পর্যটন শিল্প? পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে কেমন রোডম্যাপ তৈরি করবে সরকার? আপাতত ১ ফেব্রুয়ারির ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের দিকে তাকিয়ে সবাই। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে!
এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ICRA লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট পবিত্রা পুনিয়া (Pavethra Ponniah)। তাঁর কথায় আপাতত দু'-তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মধ্যে এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারবে পর্যটন শিল্প। কারণ সাম্প্রতিককালে কোনও ক্ষেত্রেই এত বড় পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি ট্যুরিজম সেক্টর। তাই ২০২১ সালেও এভাবে খুঁড়িয়ে চলবে। তবে ২০২২ সালে একাধিক আকর্ষণীয় প্রোজেক্ট নিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে পারে ক্ষেত্রটি। বিভিন্ন ধরনের ARR, RevPAR স্কিম, ডিসকাউন্ট দিয়ে ধীরে ধীরে মানুষজনকে টানতে হবে। এক্ষেত্রে গোয়া, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, কর্নাটক-সহ একাধিক রাজ্যে বড় বাজারের সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই সব কিছুর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এবারের বাজেট।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিগত একবছরে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের চাহিদাতেও বিস্তর পরিবর্তন এসেছে। ২০২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে করোনা জাঁকিয়ে বসে। আর ধীরে ধীরে লোকসানের মুখ দেখতে থাকে এই ক্ষেত্র। তৃতীয় ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এক্ষেত্রে একাধিক সংস্থার মোরাটরিয়ামের বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। দেশ জুড়ে পর্যটন শিল্পের পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ও বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে হবে। যা পর্যটনের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করবে। পর্যটন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। পর্যটন ও পরিবহন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত নানা শুল্ক ও করে ছাড় নিয়েও বিচার-বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তাঁর কথায়, সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে এই বছরের বাজেট থেকে প্রত্যাশা অনেক। কারণ পর্যটন শিল্পকে ট্র্যাকে ফেরাতে হলে সাহায্যের হাত একান্ত কাম্য। শুধুমাত্র পরোক্ষ নয়, সরাসরি সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পর্যটন ক্ষেত্রের একাধিক GST স্ল্যাব (১২-১৮ শতাংশ) নিয়েও পুনরায় বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। রেস্তোরাঁগুলিতে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট সিস্টেমের উপরে নজর দিতে হবে। যা ক্রেতা টানতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। এক কথায় বলতে গেলে, এই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সরকার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। আর এই সমর্থনের ইঙ্গিত দেবে আসন্ন বাজেট!