#ইন্দোর: আম খেতে ভালোবাসেন না, এ দেশে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এখন আবার আমের ভরা মরসুম। কাঁচা হোক বা পাকা, প্রায় প্রতিদিনের বাজারের সঙ্গেই আম আসছে বাড়িতে। তাপমাত্রার পারদ যখন ক্রমশ উর্দ্ধমুখী, তখন বেড়ে চলা গরমের জ্বালা বাঙালি অনায়াসে ভুলতে পারে যদি পাতে থাকে ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি বা হিমসাগর আমের মোলায়ম কয়েক টুকরো। কিন্তু এমনও আম রয়েছে যেটি আকারে, আয়তনে হার মানাতে পারে যে কোনও জাতের আমকে। এই আমের একেকটি লম্বায় প্রায় ১ ফুট! এর স্বাদ আর গন্ধও অপূর্ব! বিশেষ এই আমের নাম নূরজাহান (Noorjahan Mango)।
মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরে ফলন হয় এই আমের। গত বছর ভালো আবহাওয়া না থাকায় এই আমের ফলন ভালো হয়নি। তবে এ বছর সেই কষ্ট মিটিয়ে দিতে বাজারে এসে পড়েছে এই বিশেষ আম। এবারের মরসুমে একেকটি আমের দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দাম উঠেছে। রবিবার, মধ্যপ্রদেশের বাজারে এমন দামই হাঁকা হয়েছে নূরজাহানের। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বুকিং। কৃষকদের দাবি, এবারের মরসুম ভালো থাকায়, আমের ভালো ফলন হয়েছে।
স্থানীয়রা দাবি করেন, নূরজাহান আফগান বংশের সঙ্গে জড়িত। ইন্দোর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে গুজরাতের সীমানার কাছে আলিরাজপুর জেলার কাঠঠিওয়াড়া এলাকাতেই একমাত্র এই উৎপাদন হয়। কাঠঠিওয়াড়া এলাকার এক কৃষক শিবরাজ সিং যাদবের দাবি, 'আমার বাগানের তিনটি নূরজাহান আমের গাছে প্রায় ২৫০টা আম ধরেছে এবার। এবারে এই আম প্রতিটা পিস ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমের বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে।' গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশের আমপ্রেমীরাই মূলত এই আম কিনে থাকেন।
কৃষকের দাবি, একেকটি আমের ওজন প্রায় ২ থেকে সাড়ে তিন কেজি। গত বছর আবহাওয়া ভালো না পাওয়ায় আমের ফলন ভালো ছিল না। ২০১৯ সালে একেকটি আমের ওজন ছিল প্রায় পৌনে তিন কেজি। বিক্রি হয়েছিল ১২০০ টাকা প্রতিটা। জুনের শেষ থেকেই এই আম বাজারে আসতে শুরু করবে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে গাছে মুকুল আসতে শুরু করে দেয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।