#বেঙ্গালুরু: ভারতে তৈরি যুদ্ধ বিমানের প্রতীক তেজস। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর শক্তি বাড়াতে এই বিমানের আধুনিক সংস্করণ তিরাশিটি অর্ডার করেছে তাঁরা। এইচএএল চেয়ারম্যান মাধবন বলেছিলেন যে বেশ কয়েকটি দেশ তেজস বিমান সংগ্রহের বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম রফতানি আদেশ আসতে পারে।৪৮,০০০ কোটি টাকার চুক্তির আওতায় ভারতীয় বিমানবাহিনীকে তেজস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের (এলসিএ) ডেলিভারি ২০২৪ সালের মার্চ থেকে শুরু হবে।
লক্ষ্য রাখা হয়েছে যাতে বছরে ষোলোটি জেট সরবরাহ করা যায়। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড জানিয়েছে এই সংখ্যা নির্দিষ্ট করার পেছনে অন্যতম কারণ বিদেশ থেকে অর্ডার পেলে যাতে সেই অর্ডার ও একই সঙ্গে গ্রহণ করা যায়।মাধবন জানিয়েছেন যে তেজস মার্ক ওয়ান এ জেটের চিনের জেএফ -সতেরো যুদ্ধ বিমানের তুলনায় উন্নত পারফরম্যান্স রয়েছে কারণ এতে সামগ্রিক প্রযুক্তির এক প্রান্ত ছাড়াও আরও ভাল ইঞ্জিন, রাডার সিস্টেম এবং বৈদ্যুতিন যুদ্ধের আধুনিক সরঞ্জাম রাখা রয়েছে।
সবচেয়ে বড় পার্থক্য, অবশ্যই, বায়ু থেকে বায়ু পুনরায় জ্বালানী যা প্রতিদ্বন্দ্বী বিমানের নেই, বলছিলেন তিনি। যাই হোক, নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির এই সিদ্ধান্ত বাস্তব পরিস্থিতি বুঝেই নেওয়া হয়েছে। আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে গতি এবং অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা। একসঙ্গে একাধিক টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম এই আধুনিক ফাইটার। পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম এই আধুনিক ফাইটার রাফালের পর নিঃসন্দেহে শক্তি বৃদ্ধি করবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর।এর ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প আরও শক্তিশালী হল বলাই যায়। এতদিন যুদ্ধবিমান পেতে বিদেশের ওপর নির্ভর করে থাকতে হত। এখনও যে নির্ভরতা কাটার পুরোপুরি সময় এসে গিয়েছে এমন নয়। কিন্তু একবার দেশে নিজেরা যুদ্ধবিমান বানাতে শুরু করলে আগামী দিনে তা দেশকে যে কোনোও পরিস্থিতির জন্য অনেক বেশি তৈরি রাখবে।