#নয়াদিল্লি: ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল আর কে এস ভাদোরিয়ার চোখে পাকিস্তান এবং চিনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ফাইটার বিমান জে এফ সেভেনটিন ভারতের নতুন সংস্করনের তেজসের থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে। একটি প্রশ্নের উত্তরে দুটি বিমানের তুলনা করতে বলা হলে তিনি বলেন,"আমি মনে করি তেজস মার্ক ওয়ান আধুনিকতা এবং ক্ষমতার দিক থেকে জে এফ সেভেনটিন থান্ডারের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে। প্রথমত ওজন কম,সেই তুলনায় অস্ত্র বহন করতে পারে বেশি, টেক অফ করার সময় কম, ডগ ফাইট হলে কম জায়গায় ঘুরতে পারে বেশি। এছাড়াও আধুনিক ডিজিটাল ককপিট তো আছেই। গতি বেশি, রাডার ফাঁকি দিতে দক্ষ। লাগানো হয়েছে বিভিআর মিসাইল সিস্টেম। জে এফ সেভেন্টিন ফাইটারে এত আধুনিক প্রযুক্তি নেই"।
বালাকোট হামলা বা ওই ধরণের কোনও মিশন এই ফাইটার করতে পারবে কিনা প্রশ্ন করলে এয়ার মার্শাল জানান,"অস্ত্র বহন করার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ড অফ অস্ত্র বহন করতে সক্ষম এই ফাইটার। অর্থাৎ বালাকোট হামলার সময় যে ফাইটার ব্যবহার করেছিলাম আমরা এটা তার থেকেও এগিয়ে"।একদিন আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছিলেন, ৮৩টি তেজস মার্ক-১এ কেনার জন্য খরচ হবে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে দশটি বিমান ট্রেনিং দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। তাঁর টুইট, ‘এই চুক্তি দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার পথে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে’। তিনি জানান, তেজসের নয়া সংস্করণ আগামী দিনে ভারতীয় বায়ুসেনার মেরুদণ্ড হবে।
আগামী ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে তেজস মার্ক-১এ স্কোয়াড্রনগুলি ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দেবে। পরে যন্ত্রাংশ তৈরির ক্ষেত্রে আরও বেশি করে ভারতীয় জিনিস ব্যবহারের চেষ্টা হবে। তবে ইঞ্জিন মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রনিক্সের। সূত্রের খবর এতদিন যে তেজস বায়ুসেনা ব্যবহার করত, নতুন সংস্করণে তার থেকে প্রায় চল্লিশটি নতুন জিনিস যোগ করা হয়েছে। আকাশপথে তেল ভরা সম্ভব, যা আগে ছিল না এই বিমানে।এবার স্বয়ং বিমানবাহিনীর প্রধান সার্টিফিকেট দেওয়ায় আর সন্দেহের অবকাশ রইল না তেজসের তেজ নিয়ে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: IAF