#চেন্নাই: তেরো বছরের সফরিনের অপরাধ ছিল পিরিয়ডসের সময় নিজেকে সামলাতে না পারা। তার পোশাকে, স্কুলের বেঞ্চে ঋতুস্রাবের দাগ লেগে গিয়েছিল। তামিলনাড়ুর পালায়ামকোট্টাইয়ের স্কুলে তাই নিয়ে সফরিনকে বকাঝকাও করেন শিক্ষিকা। সুইসাইড নোট লিখে অপমানে আত্মহত্যা করে সে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু কেন ২০১৭ সালেও কেন এমন ঘটনা?
তামিলনাড়ুর পালায়ামকোট্টাইয়ের জোসেফ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল। এই স্কুলেই সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত বছর তেরোর সফরিন হাজিরা। গত শনিবার ক্লাস চলাকালীন সফরিনার পিরিয়ডসের রক্ত লেগে গিয়েছিল ইউনিফর্মে, বেঞ্চে। তা দেখতে পেয়ে সহপাঠীরা শুরু করে হাসাহাসি। তাদের চুপ করানোর বদলে শিক্ষিকা ধমক দেন সফরিনকেই। কেন এতটা বেখেয়াল হল সে? তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেন শিক্ষিকা। তাকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় বোর্ড মোছার কাপড়। প্রিন্সিপালের কাছে গিয়েও জোটে আরেকপ্রস্থ বকাঝকা। পরের সোমবার ২৬ অগাস্ট প্রতিবেশীর বাড়ির নীচ থেকে উদ্ধার হয় নিথর ছাত্রীর দেহ। মায়ের অভিযোগ, স্কুলে এই ঘটনার জেরেই অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে সে। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। যাতে লেখা,
এক সহপাঠীর থেকে পুরো ঘটনা জানতে পারে পরিবার। সফরিন কখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের ছাদে উঠল তা টের পাননি কেউই। স্কুলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও স্কুলশিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে সফরিনের পরিবার। পুলিশের অবশ্য পালটা দাবি, পারিবারিক সমস্যার জেরেই আত্মঘাতী সফরিন। ঘটনা যাই হোক, বছর তেরোর এক পড়ুয়ার সঙ্গে স্কুলে পিরিয়ডস নিয়ে এমন ব্যবহার কেন? প্রশ্নটা তুলে দিয়ে গেল সফরিন।