#হরিয়ানা:নয়া কৃষিবিলের বিরোধী করে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ডের কৃষকরা নভেম্বরের শেষ থেকে আন্দোলন শুরু করেন। শুরু হয় দিল্লি চলো অভিযানও। একাধিক ভাবে কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করলেও অসফল হয় পুলিশ। হাজার হাজার কৃষক জড়ো হয়েছেন দিল্লির রাস্তায়। দিনের পর দিন বন্ধ করা হচ্ছে একাধিক রাস্তা। দেশের বহু মানুষ কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ বার অধিকারের জন্য লড়া কৃষকদের এই আন্দোলন সমর্থন করতে, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব পদক্ষেপ করলেন হরিয়ানার কর্নালের যুবক। মার্সিডিজের বদলে ট্রাক্টরে করে বিয়ে করতে গেলেন তিনি।
হরিয়ানার কর্নালের এই যুবকের নাম সুমিত ধুল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। নিজের বিয়ের সমস্ত আয়োজনের সঙ্গে বিয়ের গাড়িটিও সাজিয়ে নেন। কিন্তু চলতে থাকা কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে হঠাৎই ট্রাক্টর ভাড়া করেন তিনি। তার পর সাজানো মার্সিডিজ বাড়ির সামনে রেখে ওই ট্রাক্টরে করে বিয়ে করতে যান। অনেকে দেখে চমকে গেলেও তিনি জানান, তাঁর পরিবারের জীবিকাও চাষবাস। তাই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে, বিলের বিরুদ্ধে মত জানাতে তিনি এই পদক্ষেপ করেছেন।
Haryana: Groom in Karnal leaves his luxury car behind & rides a tractor to his wedding venue to show support to farmers' protest.
“We might be moving to city but our roots are farming. Farmers should be priority. We want to send message that farmers have public support,” he says pic.twitter.com/KUgJkLleAy
ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুমিত জানিয়েছেন, আমরা হয়তো শহরে চলে যাচ্ছি। শহুরে সংস্কৃতিতে পা দিচ্ছি। কিন্তু কৃষকরা আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিৎ। আমরা চেয়েছি কৃষকদের কাছে এই বার্তাটা পৌঁছে যাক যে জনতাও তাঁদের সঙ্গে রয়েছে।
এ বিষয়ে তাঁর মামা সুরিন্দর নারওয়াল জানান, সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। বরযাত্রীর জন্যও গাড়ি তৈরি ছিল। কিন্তু সুমিত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন এবং পরে ট্রাক্টরে চেপেই সকলে বিয়ে বাড়ি পৌঁছন।
গতকালই প্রতিবাদী কৃষক ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে নয়া কৃষিবিল নিয়ে ম্যারাথন আলোচনা হয়। যেখানে একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে ও কৃষকদের তরফে মতামত রাখা হলেও সমস্যার সমাধান মেটে না। এমনকি কৃষকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বললেও সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তারা।
এ দিকে আজ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যান। হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে তাঁদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন। জানা গিয়েছে, সেখানে গিয়ে ডেরেকের ফোন-মারফত তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়। এ দিকে উত্তরপ্রদেশ থেকে সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বে কিষাণ যাত্রা শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার। কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
এ দিকে আগামীকাল ফের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। কালকের বৈঠকে রফাসূত্র মেলে কি না সেটাই এখন দেখার!