#নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দেড় মাস ধরে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। একাধিকবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। আর তাই এই জট কাটাতে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের দাবি এই নতুন কৃষি আইনের কিছু সাংবিধানিক যথার্থতা রয়েছে। সেগুলিরই আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। পাশাপাশি এই আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের মতামতও এদিন (১১ জানুয়ারি) শুনবে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে ১১ জানুয়ারি কৃষক ও সরকার দুপক্ষের কথাই তারা শুনবে।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে আটটি বৈঠক হয়ে গিয়েছে কৃষকদের। আগামী ১৫ জানুয়ারি নবম বৈঠক। শেষ বৈঠকটি হওয়ার আগে কেন্দ্র আশার কথা শুনিয়েছিল কৃষকদের জন্য। জানা গিয়েছিল দুপক্ষের মধ্যে স্বাস্থ্যকর আলোচনা হয়েছে। এমনকি বৈঠক শুরুর আগে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেছিলেন, এদিন কোনও একটা সমাধানে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এদিনও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র।
আর তাই দুপক্ষের কথা শোনার জন্য এবং একটি সমাধানে আসার জন্য হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা পরিস্থিতি বুঝতে পারছি এবং আলোচনার মাধ্যমে কোনও একটা সমাধান হোক এটাই চাইছি। আমরা আগামী সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিষয়টি স্থগিত করতে পারি দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে।
অষ্টম বৈঠকে এমন কথাও কেন্দ্রের তরফ থেকে শোনা যায়, সুপ্রিম কোর্ট যদি বলে দেয় যে এই আইন মোটেই বৈধ নয়, তা হলে তা বাতিল করা হবে। কিন্তু উল্টোটা বললে অবিলম্বে আন্দোলন বন্ধ করতে হবে কৃষকদের। যদিও গত ১৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, কোনও রকমের বাধা ছাড়াই কৃষকদের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। কারণ প্রতিবাদ করার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার।
২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির সীমান্ত অঞ্চলে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন হাজার হাজার কৃষকরা। এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সহ বহু রাজ্যের কৃষকরা।