#কলকাতা: সরকারি ভাবে এখনও ঘোষণা না হলেও এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ দেখতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নাকি মাত্র ১২ থেকে ১৫ হাজার দর্শককে খেলা দেখার অনুমতি দেওয়া হবে। কারণ, ভারতের সব ম্যাচ যেহেতু রাত সাড়ে আটটায়, তাই সেই সময় হাজার তিনেকের বেশি দর্শক নাকি মাঠে আসবেন না। এই কারণেই মাত্র ১২ হাজার বিনামূল্যের টিকিট বিলি করা হবে।
আরও পড়ুন - Arjun Tendulkar, IPL : সচিনের ছেলে বলেই অর্জুনকে জায়গা দিতে বাধ্য নয় দল! বিস্ফোরণ বন্ডেরএই খবর শুনে রীতিমতো বিস্মিত ভারতীয় দলের অধিনায়কের প্রশ্ন, তা হলে ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে কী লাভ হল আমাদের? উদাহরণ হিসেবে সুনীল ছেত্রী বলেন কয়েকদিন আগে কলকাতায় এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপ ম্যাচ বিকেলের রোদে খেলা থাকলেও ৩০ হাজার মানুষ এসেছিলেন। অথচ জাতীয় দল সন্ধ্যায় খেলবে। তাও লোক হবে না, এটা ভাবতে খারাপ লাগছে।
কলকাতার মানুষ এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আমাদের ম্যাচে পূর্ণ মাত্রায় মাঠে এসেছিলেন। ৫০ হাজার দর্শক ছিলেন সেদিন। আমি জানিনা এটা কাদের দোষ। কিন্তু এর ফলে ঘরের মাঠের সুবিধা বলতে কিছুই পাব না আমরা। এটা মানতে আমার কষ্ট হচ্ছে। এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জনকে পাখির চোখ করার পাশাপাশি, নিজের জীবনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক।
বললেন, এই মুহূর্তে আমাদের প্রত্যেকের একমাত্র লক্ষ্য এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করা। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, এটাই আমার শেষ এশিয়ান কাপ কি না। অবশ্য পাঁচ বছর আগেও এই প্রশ্নই শুনতে হয়েছিল। হয়তো আমার নিজের কাছেও এই প্রশ্নের উত্তর নেই।
এখনও আমি সমান ভাবে উপভোগ করি উদান্তর সঙ্গে দৌড়নো। জিঙ্ঘনের সঙ্গে হেডের লড়াই। গুরপ্রীতকে গোল দেওয়া। যত দিন উপভোগ করব, ফুটবল চালিয়ে যাব। যেদিন থেকে খেলে আনন্দ পাব না, ছেড়ে দেব। এই কারণেই প্রত্যেকটি ম্যাচকেই আমার শেষ ম্যাচ মনে করে মাঠে নামি। অবসর নেওয়ার পরে কোচিং না ফুটবল প্রশাসনে দেখা যাবে তাঁকে?
সুনীল বললেন, আমার ইচ্ছে জঙ্গলের মধ্যে একটা বাড়ি বানাব। কোলাহল, মোবাইল ফোন থেকে অনেক দূরে থাকতে চাই। প্রচুর বই পড়ব। কিন্তু কলকাতার দর্শকদের তিনি আহ্বান জানিয়েছেন তিনটি ম্যাচে মাঠে আসার জন্য।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Sunil Chhetri