#নয়াদিল্লি: ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, বিয়ে, গাড়ি, বাড়ি সমস্ত কিছু পেরিয়ে এসে চাকরি পরবর্তী জীবনে অর্থনৈতিক সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আর ঠিক এখানেই নানারকমের সমস্যায় পড়েন বয়স্ক নাগরিকরা। বিশেষ করে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর অধিকাংশই মূলত পার্সোনাল স্কিমের উপরে নির্ভর করেন। দেশে কোনও ইউনিভার্সাল পেনশন প্রোগ্রামও নেই। ৩৭টি দেশের মধ্যে গ্লোবাল পেনশন সিস্টেম ব়্যাঙ্কিংয়ে এ দেশের জায়গা ৩২ নম্বরে। এই পরিস্থিতিতে চাকরি পরবর্তী জীবনে বয়স্কদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট। কিন্তু কী ভাবে? জেনে নেওয়া যাক!
এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন Antara-এর MD ও CEO। তাঁর কথায়, আসন্ন বাজেটে একটি সিনিয়র কেয়ার ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার উপর জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে মোট চারটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। যা বয়স্কদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে। এবার এই চারটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক!
ইনসিওরেন্স প্রোডাক্টস ও সেভিং স্কিম
বয়স্ক মানুষদের পারিবারিক দিক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত একাধিক বিষয়কে মজবুত করতে নানা ধরনের বিমা ও সেভিং স্কিমের উপর জোর দিতে হবে। নানা ধরনের আন্তর্জাতিক স্কিমগুলিকে দেশের বাজারে আনতে হবে। চাকরি থেকে অবসরের পর বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পার্সোনাল সেভিংয়ের উপরে নির্ভর করেন মানুষজন। আর ঠিক এখানেই ভূমিকা নিতে পারে এবারের বাজেট। বাজেটে সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিম, প্রধানমন্ত্রী বয় বন্দনা যোজনা (PMVVY), পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম (POMIS)-সহ একাধিক স্কিম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। করের ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর জেরে অবসরের পরও বয়স্কদের হাতে একটা মোটা টাকা থাকবে।
বিমায় কিছু বিশেষ পরিষেবা
হেল্থ ইনসিওরেন্স, কেয়ার অ্যাট হোম, অ্যাসিস্টেড লিভিং সার্ভিসেস-সহ একাধিক বিশেষ পরিষেবার অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত জরুরি। করোনার পর বয়স্কদের শারীরিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের জীবনধারাতেও একাধিক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিমা পলিসিগুলির মধ্যে কিছু পরিষেবার প্রয়োজন রয়েছে। এই বাজেটে সেল্ফ কেয়ার ইনভেস্টমেন্টে জোর দেওয়া জরুরি।
সিনিয়র ফ্রেন্ডলি ট্যাক্স স্ট্রাকচার ও হেল্থ স্কিম
আসন্ন বাজেটে ট্যাক্স নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আয়করে ছাড় দেওয়া বা ট্যাক্স ইনসেনটিভসের ব্যবস্থা করতে হবে। সিনিয়র কেয়ার সিস্টেমে কর মকুব করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, বয়স্কদের পরিষেবার পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরের অংশগ্রহণের বিষয়টিকেও মজবুত করতে পারে এই ট্যাক্স ইনসেনটিভস। বাজেটের লক্ষ্য হবে, কিছু ট্যাক্স ফ্রি ইনভেস্টমেন্ট স্কিম নিয়ে আসা।
সেকেন্ড লাইফ কেরিয়ার
২০২০ সালের ড্রাফ্ট ন্যাশনাল পলিসিতেও সিনিয়রদের সেকেন্ড লাইফ কেরিয়ারের গুরুত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে ৬০-৭০ বছর বয়সে চাকরি থেকে অবসরের পর কোনও স্কুল, কনসাল্টিং বা অ্যাডভাইজরি সংস্থায় কাজ খুঁজে পেতে সুবিধা হয় বয়স্কদের। আসন্ন বাজেটে বয়স্কদের পোস্ট রিটায়ারমেন্ট এমপ্লয়মেন্টের উপর নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে চাকরি জীবন থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্যও কোনও নীতি গ্রহণ করা যেতে পারে।