হোম /খবর /দেশ /
ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ঋণ! ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিনব কায়দা ফাঁস করল এসটিএফ

Noida Fraud News: ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ঋণ! ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিনব কায়দা ফাঁস করল এসটিএফ

Noida Fraud News: ধৃতদের কাছ থেকে শতাধিক ভুয়ো আধার কার্ড, প্রায় ৫০০টি চেক বই, নগদ টাকা, এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে। তাদের গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

নয়ডা: ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ঋণ নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যেত একদল জালিয়াত। এবার তাদের হাতেনাতে ধরল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং নয়ডা পুলিশের একটি দল।

জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এলাকায় ভুয়ো নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ফাঁদ পেতেছিল এই দলটি। ভুয়ো অ্যাকাউন্টে কিছুদিন লেনদেন চালানোর পরই ওই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিত জালিয়াতরা। তারপর আর তাদের খোঁজ পেতেন না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে শতাধিক ভুয়ো আধার কার্ড, প্রায় ৫০০টি চেক বই, নগদ টাকা, এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে। তাদের গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

আরও পড়ুন: কমলা সতর্কতা জারি! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি আসছে বাংলা জুড়ে, কী বলছে আবহাওয়া দফতর!

নয়ডার ডিসিপি হরিশচন্দ্র মঙ্গলবার জানিয়েছেন, একটি জালিয়াতি চক্রের হদিশ পেয়েই অভিযান চালানো হয়। মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ এবং নয়ডা পুলিশ। অভিযুক্তদের নাম অনুরাগ চাটকারা, আমন শর্মা, ড্যানিশ চিব্বার, ওয়াসিম আহমেদ, মহসিন, জিতু রবিকান্ত এবং তনুজ শর্মা। ডিসিপি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে HDFC ব্যাঙ্ক থেকে একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে কিছু লোক ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে এর অপব্যবহার করছে।’

আরও পড়ুন: ৫ বছরে রেকর্ড মাত্রায় বাড়বে উষ্ণতা! বিপদে মানুষ, নয়া গবেষণায় উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা

এরপরই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা সকলেই পূর্ব পরিচিত। এই দলে মোট ১৩ জন থাকতে পারে বলে পুলিশের দাবি। তারা একটি ভুয়ো কোম্পানি খুলে, ভুয়ো কর্মচারী সাজিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলত।

ভুয়ো ব্যক্তির নামে ঋণ:

এসিপি ১, নয়ডা রজনীশ ভার্মা বলেন, ‘পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। সমস্ত অভিযুক্তের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।’ এরা সকলেই রিকশা চালক বা নিম্ন আয়ের মানুষদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে জাল আধার এবং প্যান কার্ড তৈরি করাত। সেই সব আধার ও প্যানের সাহায্যে ভুয়ো কোম্পানির ভুয়ো কর্মচারী তৈরি করে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলত। সেই সব অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক মাস চলত লেনদেন। যাতে ওই সব অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা ঋণ নেওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠে।

এসিপি জানান, তারপরেই এরা গাড়ি বা কোনও কারণ দেখিয়ে ঋণের আবেদন করত। তারপর ঋণ খেলাপি করে উধাও হয়ে যেত। অভিযোগ, এই ভাবে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। আটজনকে গ্রেফতার করা গেলেও বাকিরা পলাতক বলে পুলিশের দাবি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Published by:Teesta Barman
First published:

Tags: Fraud Alert, Noida