#নয়াদিল্লি: শুধু যে ফুসফুস নয়, শ্বাসযন্ত্রের পাশাপাশি মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলছে করোনাভাইরাস, সাম্প্রতিক নানা সমীক্ষায় উঠে আসছে এমনই অনেক তথ্য। এ প্রসঙ্গে সরাসরি এক বিপদসঙ্কেতের কথা জানা গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেলর কলেজের নিউরোলজির অধ্যাপক জুলফি হানিফের কাছ থেকে। তাঁর গবেষণা, যা কি না প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ এপিলেপসিতে, তা বলছে যে রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও বিপদ কাটছে না। দেখা যাচ্ছে যে মানবদেহের স্নায়ুর উপরে এক ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে ফেলছে এই ভাইরাস।
আর এখান থেকেই তৈরি হচ্ছে আশঙ্কার বিষয়। হানিফের মতে, মানবদেহের অনেক কোষকলা নতুন করে তৈরি হয় ঠিকই, কিন্তু মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে তা হয় না। ফলে একবার যদি করোনাভাইরাসের প্রভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বিঘ্নিত হয়, তা হলে তার প্রভাব হবে দীর্ঘস্থায়ী, হয় তো বা আমৃত্যু!
হানিফের গবেষণা বলছে যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মস্তিষ্কের সামনের অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার ফলে তাঁদের চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোনও কিছু বুঝতে বা উপলব্ধি করতে লেগে যাচ্ছে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি সময়। এই এক কারণে ঘুমের ওষুধ বা নার্ভের ওষুধ খেলে ঘুম আর ভাঙতেই চাইছে না! সমস্যা হচ্ছে কথা বলা নিয়েও, তা আটকে আটকে যাচ্ছে! ছোটখাটো ব্যাপারেও তৈরি হচ্ছে নানা ভুল ধারণা!
জানা গিয়েছে যে হানিফ এবং তাঁর দল প্রথমে এই সব উপসর্গকে কয়েকজন কোভিড ১৯ আক্রান্ত মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ষাটোর্ধ্ব ৬০০ জন রোগীকে নিয়ে গবেষণা চালান। সেখান থেকেই না কি নির্ভুল ভাবে উঠে এসেছে এই তথ্য। হানিফের দাবি- এই ভাইরাস নাক দিয়ে ঢুকে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে মস্তিষ্কে, তার পর দুর্বল করে দিচ্ছে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা।
হানিফের গবেষণা মারফত জানা গিয়েছে যে এই সমস্যা প্রায় সমান ভাবেই প্রভাব ফেলছে নারী এবং পুরুষ নির্বিশেষে। তিনি বলছেন, ৬০০ জন রোগীর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ নারী এবং দুই তৃতীয়াংশ পুরুষ এ হেন মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় সমস্যায় ভুগছেন!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus