অযোধ্যা: পূণ্যভূমিতেই মানবতার শত্রুর আক্রমণ। যে অযোধ্যায় কয়েকদিন আগেই রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে, যে ভূমিকে পূণ্যভূমি বলেছেন সকলে, সেই পূণ্যভূমিতেই এক সাধুর কীর্তিতে শিউরে উঠতে হয়। সাধনার নামে সাধুর কার্যকলাপ কোন ঘৃণ্য স্তরে পৌঁছতে পারে, এ যেন তারই এক উদাহরণ।
রামসেবক দাস নামে এক সাধুবাবা অযোধ্যায় নিজের আশ্রম তৈরি করেছিল। সেই আশ্রমেই চলত সাধনভজন, শিক্ষা। সেখানকার আশ্রমিক এই হতভাগ্য নাবালক। সে সেখানে সংস্কৃত পড়তে ভর্তি হয়েছিল। ১৪ বছরের এই নাবালকের অভিযোগ, তাকে নিয়মিত যৌন হেনস্থা করত সাধু রামসেবক দাস। একদিন সেই নাবালক সাধুর লালসার হাত থেকে বাঁচতে চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়, সাধু রামসেবক চেষ্টা করেছিল ওই নাবালকের গোপনাঙ্গ কেটে নিতে। যদিও কোনওমতে সে রক্ষা পায়। তারপর একদিন সুযোগ বুঝে আশ্রম থেকে পালায় সে। তারপর স্থানীয় অভিভাবকের কাছে পুরো অত্যাচারের ঘটনা খুলে বলে নাবালক। তারপরেই ওই নাবালকের বাড়ির লোকেরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। অভিযোগের কয়েকদিনের মধ্যেই সাধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এভাবে বাচ্চাদের ভুলিয়ে আশ্রমে নিয়ে গিয়ে যৌন অত্যাচার চালাতো রামসেবক। তাই শুধু এই নাবালক নয়, আরও অনেকে হয়ত তার লালসার শিকার হয়েছে।
অযোধ্যায় অসংখ্য এমন ছোট ছোট টোল বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে সংস্কৃত শিক্ষার পাশাপাশি হিন্দু ধর্মীয় মতে শিক্ষা দান করা হয়। সেগুলি আশ্রমের মতো। সেখানে এমন কাণ্ড কেউ করতে পারে ভাবলেই শিউরে উঠছেন অন্য আশ্রমিক, সাধু, সাধারণ মানুষেরাও। সকলেই একবাক্যে রামসেবকের শাস্তি দাবি করেছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ayodhya