#নয়াদিল্লি: চুক্তিবধ্য চাষাবাদ বা কর্পোরেট ফার্মিং-এ আসার কোনও পরিকল্পনা নেই, ৪ জানুয়ারি জানিয়ে দিল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (RIL)৷ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (RIL) কৃষকদের ক্ষমতাবৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (RIL)পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা কখনও কোনও কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত জমি ক্রয় করেনি যা কর্পোরেট ফার্মিং বা কনট্রাক্ট ফার্মিং-এর জন্য ব্যবহার করা যায়৷ এবং ভবিষ্যতেও এর কোনও পরিকল্পনা নেই।
আরআইএল আরও জানিয়েছে যে, তারা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি খাদ্যশস্য ক্রয় করে না এবং এর সরবরাহকারীরা ন্যূনতম সহায়তা মূল্যেই (MSP)কৃষকদের থেকে লেনদেন করেন।
আরআইএল এক বিবৃতিতে বলেছে, "ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) বা সরকারি নির্ধারিত নিয়মে আমাদের সরবরাহকারীদের কৃষিজাত দ্রব কিনুক, এর ওপর জোর দেয় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।"
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আরও বলেছে যে "কৃষকদের থেকে অন্যায়ভাবে সুবিধা অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কোনও চুক্তি করেনি এই সংস্থা বা এর সরবরাহকারীরা কৃষকদের কাছ থেকে পারিশ্রমিক মূল্যের চেয়ে কম দামে দ্রব্য কিনুক তাও কখনও চায়নি এবং কখনও তা করাও হবে না।"
পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় যেভাবে সংস্থার একের পর এক মোবাইল টাওয়ার এবং পরিকাঠামোর উপর হামলা চলছে, তা রুখতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রিলায়েন্স ৷ সংস্থার অধীনস্থ রিলায়েন্স জিও ইনফোকম লিমিটেডের মাধ্যমে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড৷ এই তাণ্ডব রোখার জন্য অবিলম্বে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে সংস্থা৷ এর পিছনে কোনও ব্যবসায় প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে বলে জানিয়েছে এই সংস্থা৷
পঞ্জাবে আরআইএল-সংস্থার অধীনস্থ জিও-র প্রায় ১৫০০ মোবাইল টাওয়ার এবং টেলিকম গিয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে৷ অভিযোগ এই ভাঙচুরের মাধ্যমে কৃষকরা নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদ জানিয়েছে। নভেম্বর মাসে বেশ কিছু কৃষক গোষ্ঠী পঞ্জাবের কয়েকটি রিলায়েন্স ফ্রেশ স্টোর বন্ধ করে দিয়েছে।
"ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল, বা এর পিছনে ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বীদের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিযোগ৷ কৃষক আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে এই স্বার্থান্বেষী সংস্থাগুলি রিলায়েন্সের বিরুদ্ধে এধরণের অসৎ প্রচার শুরু করেছে যার কোনও ভিত্তি নেই৷ স্পষ্ট জানিয়েছে RIL৷
নতুন কৃষি আইন নিয়ে শুরু হয় কৃষক আন্দোলন৷ বিশেষ করে পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে আসা হাজার হাজার কৃষক দিল্লির সীমান্তে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। ২৬ নভেম্বর থেকে এই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
কেন্দ্র ও কৃষক ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। বিক্ষোভকারী কৃষকদের আশঙ্কা, নতুন কৃষি আইন এমএসপি ব্যবস্থা দুর্বল করে দেবে এবং কৃষিকাজেও কর্পোরেট সংস্থা মত কাজ করবে। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে যে, এই নতুন আইনের ফলে কৃষকদের উপকার হবে।
৪ জানুয়ারি ফের বৈঠক রয়েছে দুই পক্ষের। শেষ দফার আলোচনায় কেন্দ্র এবং কৃষক ইউনিয়ন বেশ কিছু ইস্যুতে একমত হয়৷ তবে দুটি মূল দাবির বিষয়ে এখনও মতানৈক্য রয়েছে৷ দেখা যাক ৪ জানুয়ারির বৈঠকে সেই সব জট কাটে কিনা৷