#নয়াদিল্লি: ২০১৬-র ফেব্রুয়ারি জন্ম দিল কানহাইয়া কুমারের।বলা ভাল নতুন জন্ম হল ভারতের বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের।এতদিন JNU-র বামপন্থী ছাত্রনেতা বলতে এদেশের লোকে বুঝত, বিলেত ফেরত ইংরেজি উচ্চারণের প্রকাশ কারাত, সীতারাম ইয়েচুরিদের।বলতে পারলেও, যারা পারতপক্ষে হিন্দি বলেন না। যতটুকু বলেন তাতে গ্রাম-দেহাতের টানটুকুও নেই। হিন্দি বলয়ের মানুষ তাতে মনের কথা খুঁজে পান না।
পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ শুকোচ্ছে বামপন্থার স্রোত। বিহারে গত তিরিশ বছরে কোনওমতে টিঁকে থাকা লালুপ্রসাদ যাদব আর কংগ্রসের দয়া-দাক্ষিণ্যে।সেই বিহার থেকেই উঠে এলেন কানহাইয়া।তার আজাদির স্লোগানে দেশদ্রোহীদের মুক্তির দাবি ছিল কি না তা আদালত বিচার করছে। তবে বয়স আর অভিজ্ঞতার বিচারে একরত্তি কানহাইয়াকে সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেয়েছে কেন্দ্রের সরকার।
আদালত চত্ত্বরে গুন্ডা দিয়ে কানহাইয়াকে পিটিয়েও দমানো যায়নি খিদে,বেকারি আর অসাম্য থেকে আজাদির স্লোগান।সে স্লোগান যে দেশবিরোধী একথা অন্তত সাধারণ মানুষকে বোঝানো যায়নি। হিন্দি বলেন গো-বলয়ের টানে।কেতাবি জ্ঞান নয়, ভরসা রাখেন কাণ্ডজ্ঞানে।প্রধানমন্ত্রী কেমন বোঝাতে এককথায় বলে দেন, মন কি বাত বোলতে হ্যায়, শুনতে নেহি। মোদীর মতই সরল,সহজ ভাষায় ও উদাহরণে প্রতিপক্ষকে বিদ্ধ করেন রসবোধে। তিনি নরেন্দ্র মোদি সরকারের যতটা মাথাব্যাথা, ততটাই পাকা চুলের বামনেতাদের।
এবছরই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী,দুর্নীতি বিরোধী জোট গড়লেন বঙ্গজ বামেরা।JNU-তে হাতে কলমে সেটা সফল করে দেখিয়েছেন কানহাইয়া। যার জেরে দেশবিরোধী তকমা জুটেছে তাঁর। মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বে জেল খাটা একমাত্র বামপন্থী নেতা কানহাইয়াকে,বিধানসভা নির্বাচনে এরাজ্যে একটা পথসভাতেও বলতে ডাকা হয়নি। আজ অব্দি, জাতের আন্দোলনকে, শ্রেণী আন্দোলনের উপরে রাখেননি এদেশের বামেরা। কানহাইয়া বলা শুরুই করেন, আম্বেদকর দিয়ে।পাশে থাকেন রোহিত ভেমুলার মা। আর এদেশে বামেদের অবস্থা বোঝাতে বলেন, পার্টি অফিসগুলো যেন মন্দির, লোকাল কমিটির নেতা পুরোহিত আর কার্ল মার্কস ভগবান।পাকা চুলের বৃদ্ধ নেতারা শোনেন। হজম করতে পারেন কি?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: JNU, JNU Politica, Kanhaiya Kumar, Left Front, Phire Dekha, Phire Dekha 2016, Year Review, ফিরে দেখা ২০১৬