ক্রমে পারদ নামছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh)। শীত আরও জাঁকিয়ে পড়ছে। তাই রাম লালা (Ram Lalla) ও তাঁর ভাইদের জন্যও আরামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাড়ম্বরে নেওয়া হচ্ছে যাবতীয় প্রস্তুতি। এ বার শীতে অযোধ্যা মন্দিরের রাম ও তাঁর ভাইদের গরম রাখতে কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই রকম আয়োজন করা হল।গত বছরও একই আয়োজন করা হয়েছিল। সে বার অযোধ্যার কমিশনারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল স্থানীয় হিন্দু নেতারা। সঙ্গে ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad)। এই বিষয়ে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস জানান, গত বছরের মতো এই বছরও যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবল শীতে মন্দিরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মন্দিরের ভিতরে একটি হিটার ইনস্টল করা হয়েছে। লক্ষ্য একটাই যাতে আমাদের আরাধ্য ঠাণ্ডায় কষ্ট না পান। হিটার ছাড়াও দেবতাদের গরম কাপড় দেওয়া হয়েছে। কম্বলের ব্যবস্থাও রয়েছে। এগুলির পাশাপাশি একটি আগুন জ্বালানোর জায়গার বন্দোবস্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মন্দির কাঠ ও কাঁচের তৈরি হওয়ায় এই ব্যবস্থা নিরাপদ হবে না। তাই ফায়ার প্লেস তথা আগুন জ্বালানোর জায়গার পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। শীত যতদিন থাকবে, এই মন্দিরের রাম লালার আরামের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা বহাল থাকবে।মন্দিরের বাকি পুরোহিতরা জানান, গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে মন্দিরের বিগ্রহদের বাঁচানোর জন্য ইতিমধ্যেই এয়ার কন্ডিশনের ব্যবস্থা রয়েছে। আর শীতে অযোধ্যার শিশু রামকে রক্ষা করতে এ বার কম্বলের ব্যবস্থা। দেবতাদের যত্নাদিতে এ ছাড়াও নানা আয়োজন করা হয়। ভগবান রামকে আতর দিয়ে স্নান করানো হয়।এই বিষয়ে VHP-এর মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, গত বছরের মতো এই বছরও বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছর অক্টোবরে অযোধ্যা কমিশনের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সঙ্গে রাম লালাকে নিয়ে আলোচনা হয়। রাম লালা অযোধ্যার মানুষের বিশ্বাসের প্রতীক। তিনি এখানকারই সন্তান। কিন্তু তিনি শীতে কষ্ট পাবেন, তা হতে পারে না। তাই রাম লালার থাকার জায়গাটি উষ্ণ রাখার ব্যবস্থা করা উচিৎ। সেই সময়ে আমরা একটি রুম হিটার ও কম্বল ব্যবহারের আবেদন জানিয়েছিলাম। গতবছরই অনুমতি মেলে। সেই মতো এই বছরও যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মন্দিরে রাম লালার সঙ্গে রয়েছেন ভরত, লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্ন। এ ক্ষেত্রে এক জায়গায় থাকবেন চার ভাই। আর হনুমান (Hanuman) ও ভগবান শালিগ্রাম থাকবেন দু'টি আলাদা জায়গায়।১৯৯২ সাল থেকে ২০১৯ সাল। একের পর এক নানা ইস্যুতে আদালতে বারবার উঠেছে অযোধ্যা মামলা। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে গত বছর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই বছর প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Temple) ভিত্তি-প্রস্তর স্থাপন করা হয়। আপাতত নির্মাণকাজ চলছে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের।
Published by:Elina Datta
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।