#চণ্ডীগড়: সময়টা অগ্নিগর্ভ। তাঁরই মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু আর পাঁচটা বিয়ের মতো ঘটা করে উপহার নিয়ে বিয়ে করতে চাননি তাঁরা। বরং চেয়েছিলেন বিয়েটাও প্রতিবাদের স্মারক হয়ে থাক। উপহারের বদলে আমন্ত্রিতদের দেওয়া অনুদান পৌঁছে যাক সরাসরি আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে। নেটদুনিয়ায় এখন চর্চা পাঞ্জাবের এই বিশেষ বিবাহ অনু্ষ্ঠানকে নিয়েই।
ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীগড় থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাবের মুক্তাসরে। বিবাহ বন্ধনে আবধ্য হতে চলা দুই পরিবারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা কোনও উপহার নেবেন না। বিয়ের আসরে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে আসা অভ্যাগতদেরকে পরিবর্তে তারা যদি অনুদান দিতে চান তা যেন একটি বক্সে দান করে দেন। এক ঘোষককে ঘোষণা করতে দেখা যায় বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে। তিনি বলেন, কেউ যদি স্বেচ্ছায় কোন অনুদান দেন তবে সেই টাকা চলে যাবে কৃষকদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী কেনার কাজে। যেমন বলা তেমন কাজ, রীতিমতো অনুদানের পাহাড় জমে যায়।
তিন নয়া কৃষিআইন বিরোধী আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লিতে। পাঁচ দফা বৈঠকের পরেও নিজেদের দাবিদাওয়ায় অনড় জমায়েতে অংশ নেওয়া কৃষক সমাজ। তাঁদের দাবি, তিনটি বিলই প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে কেন্দ্র চায় সংশোধনী আনতে। এই ডামাডোলের মধ্যেই কাল ভারত বনধ ডেকেছিলেন কৃষকরা। অভূতপূর্ব সাড়া মেলে এই বনধে। কেন্দ্রের বিরোধীশক্তিগুলিও পক্ষ নিয়েছে এই কৃষকদের।