#নয়াদিল্লি: ফের কৃষক আন্দোলনে মৃত্যু হল এক কৃষকের । দিল্লির প্রচণ্ড ঠান্ডায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে । আজ, বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে। বিক্ষোভকারী কৃষকদের মধ্যে বছর সাঁইত্রিশের পঞ্জাবের ওই কৃষকও সামিল ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে । কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনে, শুরু থেকেই সামিল ছিলেন তিনি। মৃত ওই ব্যক্তির তিনটি সন্তান রয়েছে , যাদের বয়স ১০, ১২ এবং ১৪ বছর।
প্রসঙ্গত, বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তের কাছেই গতকাল এক শিখ ধর্মগুরুর আত্মহত্যার খবর মিলেছে। তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পরই ফের ঘটল এমন মর্মান্তিক ঘটনা। বাবা রাম সিং নামের এই ধর্মগুরু তাঁর স্যুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন, কৃষকদের বিক্ষোভকে তিনি দৃঢ় ভাবে সমর্থন করেন এবং কৃষকদের প্রতি সরকারের এই অবিচারে তিনি “ক্ষোভ এবং যন্ত্রণা”র মধ্যে ছিলেন।
নভেম্বরের শেষ দিকে শুরু হয়েছে এই কৃষক আন্দোলন। সেই থেকে এ পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি কৃষকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে দিল্লির প্রচন্ড ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে।
অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাই এখন কৃষকদের জন্য কম্বল এবং হিটারের ব্যবস্থা করছেন। এ ছাড়া আন্দোলনকারীরা নিজেরাও আগুন জ্বালিয়ে চেষ্টা করছেন শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচার।
এ দিন সকালে সিংঘু বর্ডারে আন্দোলনরত এক কৃষক জানিয়েছেন, “এই শীতেও আমাদের লড়াই বজায় থাকবে, যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হচ্ছে। এমনকি বৃষ্টিও আমাদের আটকাতে পারবে না।”
বেশ কিছুদিন ধরেই দিল্লি এবং তার আশেপাশে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে পাঁচ ডিগ্রিতে। দিল্লিতে শীতে এমনিতেই হাড়-কাঁপানো ঠান্ডা পড়ে। তবে এ বছর তাপমাত্রা রয়েছে স্বাভাবিকের থেকেও চার ডিগ্রি কম।