#শ্রীনগর: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার তদন্ত চলছে পুরোদমে! প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! জইশ নেতা মাসুদ আজহারের ভাগ্নে তালহা রশিদ ও উসমানের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। তদন্তচলাকালীন গোয়েন্দারা জানতে পারেন একটি লাল রঙের মারুতি ইকোর কথা!
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে একটি বিস্ফোরক ভর্তি স্করপিয়ো নিয়ে হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দার। কিন্তু বিস্ফোরণের পরেও জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ফলে আদিল ছাড়াও জঙ্গি দলের অন্য সদস্যেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে নিশ্চিত গোয়েন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার ঠিক আগে সিআরপিএফের কনভয়ের কাছাকাছি একটি লাল রঙের ইকো দেখতে পান এক জওয়ান। সে কথা ঊর্ধ্বতন অফিসারকে জানান তিনি। ওই গাড়িটিকে কনভয়ের কাছ থেকে সরে যেতেও বলা হয়। আর তার কিছুক্ষণ পরেই স্করপিয়োটি বাসে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থল থেকে একটি গাড়ির অংশ পাওয়া গিয়েছে। সেটি কোন গাড়ির তা জানতে গুরুগ্রামে মারুতি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জইশ নেতা মাসুদ আজহারের ভাগ্নে তালহা রশিদ ও উসমান কাশ্মীরে বাহিনীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়। ভারতীয় বাহিনীর উপরে স্নাইপার হামলা চালানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের উপত্যকায় পাঠানো হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, মাসুদের ভাগ্নেদের মৃত্যুর পরেই আফগান যুদ্ধে অংশ নেওয়া রশিদ গাজিকে কাশ্মীরে পাঠায় জইশ। গাজিই পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গি আদিলের হ্যান্ডলার ছিল বলে তাঁদের দাবি ।
এই সূত্রেই উঠে এসেছে আরজু বশির নামে এক যুবকের নাম। দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা বশির ২০১৭-তে পুলিশের কাছে এসে জানায়, তাকে গাড়ি নিয়ে কনভয়ে হামলা চালাতে বলেছে জইশ। বশিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, রশিদ গাজিই তার হ্যান্ডলার ছিল কি না। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে গোয়েন্দাদের ধারণা, পুলওয়ামার ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নজরদারি চালিয়েছে জঙ্গিরা।
ভিডিও দেখুন--