#নয়াদিল্লি: কৃষক বিক্ষোভের কোনও ফল এখনও পর্যন্ত আসেনি৷ কোনও বৈঠকে মেলেনি সমাধান সূত্র৷ ফলে বিক্ষোভকে অন্য মাত্রা দিতে প্রস্তুত আন্দোলনকারীরা৷ এরপর তাঁদের দাবি যে, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লির রাস্তায় তাঁরা ট্র্যাক্টর নিয়ে প্রতিবাদে নামবেন৷ প্রজাতন্ত্র দিবস বেছে নেওয়ার পিছনে বিশেষ কারণের কথা উল্লেখ করেছেন তাঁরা৷ যেহেতু প্রজাদের জন্য উৎসর্গ করা হয় এই দিনটি, তাই প্রজাদের কথা তুলে ধরার জন্য এই দিনে তাঁদের এই অভিনব প্রতিবাদ৷ একই সঙ্গে ২৬ জানুয়ারিই দু’মাস সম্পূর্ণ হবে তাঁদের প্রতিবাদের৷
"৪ জানুয়ারি আমাদের সরকারের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে৷ ৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে৷ যদি আমাদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে ট্র্যাক্টর চালিয়ে প্রতিবাদ হবে হরিয়ানার কুন্ডলি-মানেশ্বর-পলওল এক্সপ্রেসওয়েতে৷ ১৫ দিন চলবে প্রতিবাদ৷ ২৩ জানুয়ারি, নেতাজির জন্মদিবসে প্রতিবাদ হবে রাজ্যপালের বাসভবনের সামনে৷" সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানালেন প্রতিবাদে শামিল ডাঃ দর্শনপল৷ ২৬ জানুয়ারি বড় আকারে দিল্লিতে হবে প্রতিবাদ৷ প্রতিটি ট্র্যাক্টরে লাগানো থাকবে তিরঙা৷ এমনই জানানো হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে৷ সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ রূপে তাঁরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন৷ এমনকি সরকারকেও একথা জানানো হয়েছিল যে হয় তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হোক না হলে একমাত্র তাঁদের ওপর জোর খাটিয়ে হটিয়ে দিতে হবে৷
এক কৃষক নেতার অভিযোগ যে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে সরকার তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে৷ "সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে MSP সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়৷ কিন্তু আমাদের দাবি, আইন এভাবে হোক যাতে আমাদের সুবিধা হবে৷" জানান কৃষক নেতা গুরনাম সিং চাধুনি৷
কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন নিয়ে এখনও কোনও রফা সূত্র মেলেনি। দিল্লির সিংঘু সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। ৪ জানুয়ারি আবার এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে কৃষকদের। আর তার আগেই শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষক সংগঠনের নেতারা। জানিয়ে দিলেন, সোমবারের বৈঠকে কোনও সঠিক সিদ্ধান্তে সরকার না এলে তাঁরা বড় পদক্ষেপ করবেন।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর যদিও দাবি করেছেন যে ষষ্ঠ বৈঠকে সমস্যার ৫০ শতাংশ সমাধান হয়ে গিয়েছে। যদিও কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনও কিছুই এগোয়নি। আর তাই পরবর্তী বৈঠকের আগে কৃষকনেতারা কড়া ভাষায় জানালেন, এবার সমাধান না হলে আগামী ৬ জানুয়ারি বড় পদক্ষেপ করবেন তাঁরা।
ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন-এর সদস্য যুধবীর সিং বলছেন, "সরকার কৃষকদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। শাহিনবাগ আন্দোলনকারীদের সরকার সরিয়ে দিতে পেরেছিল। তাঁরা ভাবছেন আমাদের সঙ্গেও একই কাজ করতে পারবে। কিন্তু সেই দিনটা কখনও আসবে না। ৪ জানুয়ারি সরকার যদি সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে কৃষকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।"