#লখনউ: অভিযোগ জুতোচুরির। না সাধারণ ছিঁচকে চোরের কম্ম নয় এ। এই চোর পুরোদস্তুর 'রাজনৈতিক'। এক কৃষকনেত্রী যাতে পথে নেমে আন্দোলনে যোগ দিতে না পারে তাই জন্যেই নাকি এমন চুরি! বনধের দিনে গীতা ঠাকুর নামক এক কৃষকনেত্রীর এমন অভিযোগেরই সরগরম নেটনগরী।
তিন নয়া কৃষিআইন বিরোধী আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লিতে। পাঁচ দফা বৈঠকের পরেও নিজেদের দাবিদাওয়ায় অনড় জমায়েতে অংশ নেওয়া কৃষক সমাজ। তাঁদের দাবি, তিনটি বিলই প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে কেন্দ্র চায় সংশোধনী আনতে। এই ডামাডোলের মধ্যেই কাল ভারত বনধ ডেকেছিলেন কৃষকরা। অভূতপূর্ব সাড়া মেলে এই বনধে। কেন্দ্রের বিরোধীশক্তিগুলিও পক্ষ নিয়েছে এই কৃষকদের। এই বিক্ষোভেই শামিল কিষাণ একতা সঙ্ঘের মহিলা মোর্চার সভাপতি গীতা ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের সরকার তাঁর চপ্পল চুরি করেছে চক্রান্ত করে যাতে তিনি পথে নামতে না পারেন। তাঁর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, এভাবে তাঁকে আটকে রাখা যাবে না। তিনি আরও জানান, আপাতত তিনি কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন অন্যের জুতো ধার করে। কিন্তু ওই চটিজোড়াই ফেরত চাই তাঁর। প্রয়োজনে তিনি থানায় এফআইআর করবেন।
নেটাগরিকরা অনেকেই পক্ষ নিচ্ছেন গীতার। ধ্বনি উঠছে গীতার চপ্পল ফেরত তাই। অনেকে আবার বলছেন,যোগীরাজ্যে জুতোও সুরক্ষিত নয়। কিন্তু গুরুতর বিষয়ে আঙুল তোলার পাশাপাশি এবার জুতোচুরির জন্যেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলবেন বিরোধীরা,এই প্রশ্নে হেসে খুন হচ্ছেন একদল নেটাগরিক।