হোম /খবর /দেশ /
জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল কীটনাশক?মা,দুই মেয়ের রহস্য মৃত্যুতে উত্তর খুঁজছে পুলিশ

Burdwan: কাউকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল কীটনাশক? মা ও দুই মেয়ের রহস্য মৃত্যুতে উত্তর খুঁজছে পুলিশ

বর্ধমানে তদন্তে পুলিশ।

বর্ধমানে তদন্তে পুলিশ।

পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে।

  • Share this:

বর্ধমান: কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা কার মাথায় এসেছিল? সবাই কি একসঙ্গে সরাসরি কীটনাশক খেলেন নাকি তা খাওয়া হয় অন্য কোনও খাবারের সঙ্গে? কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি কীভাবে সামলাবেন সে বিষয়ে কাছের আত্মীয়দের কাছ থেকে কোনও পরামর্শ নিলেন না কেন তাঁরা। বর্ধমানে মা ও দুই মেয়ের মৃত্যুর পর এসব প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে পড়শিদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের পীরপুকুর এলাকায় একটি বাড়ি থেকে মা ও দুই মেয়ের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতরা‌ হলেন মৃণালিনী চৌধুরি (৭০), তাঁর বড় মেয়ে বন্দিতা চৌধুরি (৪০) ও ছোট মেয়ে শঙ্খমিতা চৌধুরি (৩৩)। ঘরের টেবিল থেকে কীটনাশকের একটি বোতলও পেয়েছে পুলিশ। তবে অবশিষ্ট কোনও খাবার মেলেনি। তাই সরাসরি কীটনাশক পান করেই তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। কিন্তু কে আগে কীটনাশক পান করলেন। প্রচুর অর্থের মালিক হওয়া সত্ত্বেও কেন এই পথ বেছে নিলেন তাঁরা?

আরও পড়ুন: সন্তানের জন্ম তাঁর গর্ভ থেকে হয়নি, তাই বলে এমন নারকীয় কাণ্ড ঘটালেন সৎ মা!

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। তবে অন্য কোনও সম্ভাবনার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তিনজনে একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে কীটনাশক খেয়ে থাকতে পারেন। আবার একজন বাকিদের জোর করে কীটনাশক খাইয়ে নিজেও কীটনাশক খেয়ে থাকতে পারে। সব দিক দিক খোলা রেখে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনায় এই তিনজনের বাইরে আর কারও যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশ।

পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। বন্দিতার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছিল বলে তদন্তকারীরা চিহ্ন পেয়েছেন। তা দেখে তাঁরা মনে করছেন, বন্দিতা হয়তো কীটনাশক খেতে চাননি। বাকিরা জোর করে খাইয়েছেন। এমন সম্ভাবনার দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ওই বাড়িটি পুলিশ সিল করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: বিধবার সঙ্গে পরকীয়া, মর্মান্তিক পরিণতি যুগলের! শিউরে ওঠা দৃশ্য পাণ্ডবেশ্বরে

পীরপুকুর এলাকায় মূল রাস্তার উপর বিশাল এলাকাজুড়ে প্রাসাদোপম বাড়ি। রয়েছে গাড়িও। ওই বাড়িতেই থাকেন মৃণালিনীদেবীর মা অশীতিপর প্রতিমারানি মণ্ডল। তিনি অ্যালঝাইমারস রোগে ভুগছেন। তাঁকে দেখাশোনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন শহরের কালনাগেট এলাকার বাসিন্দা রূপালি হাজরা ওরফে পলি। প্রতিদিনের মতো এ দিন সকালে তিনি কাজে আসেন। কিন্তু বার বার ডেকেও মৃণালিনীদেবীদের কোনও সাড়া পাননি।

খবর দেওয়া হয় নিকটাত্মীয়দের। আসে পুলিশও। ঘরের দরজা ভেঙে দেখা যায় ডাইনিং রুমে পড়ে রয়েছে তিনজনের দেহ।

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Purba bardhaman, Suicide