#মুম্বই:
নেতা-মন্ত্রী হলেই কি এদেশে সাত খুন মাফ! নেতা বা মন্ত্রী হতে পারলেই কি আর তাঁকে এদেশে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা কোনও আইনের নেই! এমন সব প্রশ্ন অনেকেই তুলছেন। আসলে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ ও কর্পোরেশনের লোকজন এক গরিব সবজিওয়ালার সমস্ত মালপত্র রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে। তার পর সেই সবজিওয়ালার হাজার অনুরোধ-উপরোধ উপেক্ষা করে তাঁর ঠ্যালা গাড়িও ভেঙে দিল পুলিশ। চোখে জল নিয়ে সেই সবজিওয়ালা অনেকবার পুলিশ ও কর্পোরেশনের কর্মীদের অনুরোধ করেন। ঠ্যালা গাড়ি ভেঙে দিলে তাঁর ব্যবসার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। ফের নতুন গাড়ি বানিয়ে ব্যবসা শুরু করার সামর্থ তাঁর নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা! পুলিশকর্মীরা যেন অন্য কোনও রাগ তাঁর উপর মিটিয়ে নিলেন এদিন। আর আশেপাশের লোকজন হা করে সেই অন্যায় দেখলেন।কোভিড বিধি ভেঙেছিলেন সেই সবজিওয়ালা। তাই এদিন পুলিশ ও কর্পোরেশনের কর্মীরা এসে প্রথমে তাঁর ঠ্যালা থাকা সব মাল রাস্তায় উল্টে ফেলে দেন। এরই মধ্যে দু-একজন পুলিশকর্মী ওই সবজিওয়ালার গায়েও হাত দেন। তার পরই কর্পোরেশনের এক কর্মী তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজনকে ঠ্যালা গাড়ি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। মহারাষ্ট্রের মীরা রোডের সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে ঝড়ের গতিতে। কয়েকজন তাঁর ঠ্যালা গাড়ি ভাঙতে উদ্যত হলেই সেই সবজিওয়ালা তাতে চড়ে বসেন। এর পর তিনি হাতজোড় করে অনুরোধ করেন, আর কখনও কোভিড বিধি ভাঙবেন না। তাঁর ঠ্যাা গাড়ি যেন না ভাঙা হয়। কিন্তু পুলিশ ও কর্পোরেশন কর্মীরা ততক্ষণে তাঁর গাড়িতে হাতুড়ির ঘা দিতে শুরু করেছিলেন। কাঠের ঠ্যালা গাড়ি বড় হাতুড়ির ঘায়ে ভেঙে পড়ে। সবজিওয়ালা তার উপরই বসে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। কিন্তু পুলিশকর্মীদের মন গলে না। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হতভাগ্য সবজিওয়ালাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দেয়।
ওই এলাকায় বহু নেতা ও সরকারি অধিকর্তা কোভিড নিয়ম ভাঙেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাঁদের কখনও কোনও শাস্তি হয় না। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, বড় নেতাকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা পুলিশ-প্রশাসনের নেই। তাই যত জোরজুলুম হতদরিদ্র সবজিওয়ালার উপর! এই ঘটনা ওই এলাকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। পুলিশ ও কর্পোরেশন কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mumbai, Police, Viral Video