#গুরগাঁও: বয়স হয়েছে মাত্র ২৩ বছর। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে ২৪টি। কী নেই অপরাধের তালিকায়। ডাকাতি থেকে খুনের চেষ্টা, অপহরণ থেকে প্রমাণ লোপাট, সব রকম অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সে। এমনই এক যুবককে গত রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। পুলিশ কিছুতেই এঁটে উঠতে পারছিল না। তাকে ধরার জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫,০০০ টাকা পুরস্কার। শেষে রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাদশাহপুর থেকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পালাম বিহারের এক তদন্তকারী সংস্থা, ফাজিলপুরে ওই সন্দেহভাজন যুবককে দেখে তড়িঘড়ি খবর দেয় পুলিশকে। করমজিৎ ওরফে কেডি নামের ওই যুবক ফাজিলপুরে দেখা করতে এসেছিল বন্ধুদের সঙ্গে। সেখানেই তাকে শনাক্ত করে পুলিশকে খবর দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি দেশি পিস্তল এবং কার্তুজ।
পুলিশের সহযোগী কমিশনার প্রীত পল সঙ্গোয়ান-এর কথায়, পুলিশের টিম দেখেই প্রথমে স্থানীয় মানুষ সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন। এরপর কেডি-কে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে, সে পিস্তল বের করে গুলি ছোঁড়ার হুমকি দেয়। বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর, ধরা পড়ে যায় করমজিৎ। জিজ্ঞাসাবাদে কেডি স্বীকার করেছে যে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি সত্যি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সে বাদশাহপুরে হত্যা করেছে এক ব্যক্তিকে। একই বছরের মার্চ মাসে, একজন পুরোহিত এবং তাঁর স্ত্রীকে খুন করে পালিয়েছিল সে। শুধু তাই নয়, সে স্বীকার করেছে যে, ২০১৮ সালের মে মাসে ২২ লাখ টাকার ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল সে এবং পালোয়ালে খুন করেছে আরও এক মহিলাকে।