#পানাজি: গোয়ায় BRICS সম্মেলনের মঞ্চ থেকে আবারও নাম না করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ ভারতের প্রতিবেশী দেশ সন্ত্রাসের ‘মাদার শিপ’ অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদের আতুঁড়ঘর ৷ এই ভাষাতেই এদিন পাকিস্তানকে নিশানা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ৷
একপাশে চিনা প্রেসিডেন্ট জিং পিং ও অন্যপাশে রাশিয়া প্রেসিডেন্ট পুতিন ৷ এদের পাশে রেখেই রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে ব্রিকসের গোল টেবিল বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আরও একবার ইসলামাবাদকে তুলোধোনা করেন মোদি ৷ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে নাম না করে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেন মোদি। জঙ্গিদের টাকা ও অস্ত্রের উৎস বন্ধ করত ব্রিকসের পাঁচটি দেশকে একজোট হওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। মাসুদ আজহার ইস্যুতে চিনকে বার্তা দিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ পদক্ষেপ না করলে ব্যর্থ হবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।
গোয়ায় ব্রিকসের প্রথম দিন সন্ত্রাস নিয়ে ভারত-রাশিয়া যৌথ বিবৃতিতেই স্থির হয়ে যায় সম্মেলনের সুর। তৈরি ছিল মঞ্চও। কূটনৈতিক চিত্রনাট্য মেনে ঘুঁটিগুলো একের পর এক এগিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতেই সন্ত্রাস প্রশ্নে পাশে পেয়ে গেলেন রাশিয়াসহ ব্রিকসভুক্ত দেশগুলিকে। যার জেরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে আরও একঘরে করার পদক্ষেপও সেরে ফেললেন মোদি। রবিবার গোয়ায় ব্রিকস সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুরটা চড়িয়েই রেখেছিল ভারত। এদিন নাম না করেই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের আঁতুরঘর বলে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।এদিন মোদি বলেন, ‘আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদ শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা ৷ খুবই দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ভারতের প্রতিবেশী দেশই এই সন্ত্রাসবাদের ‘মাদার-শিপ’,সন্ত্রাসবাদের মূলচক্রী ৷ বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের ছড়ানো জালের সঙ্গে যোগ রয়েছে ওই দেশের ৷ সন্ত্রাসবাদে রাজনৈতিক সমর্থন বরদাস্ত নয় ৷ সন্ত্রাস দমনে পৃথক মনোভাব ক্ষতিকারক ৷’
এর সঙ্গেই মোদি নাম না করেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলেন ৷ ‘ওই দেশ জঙ্গিদের শুধু আশ্রয় দেয় না, একইসঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনও জোগায় ৷’
ব্রিকসে বাকি রাষ্ট্রগুলির উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা, ‘সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে সব রাষ্ট্রকে একজোট হতে হবে ৷ জঙ্গিদের আয়ের উৎস বন্ধ করতে হবে ৷’
সন্ত্রাস ও পাকিস্তান প্রশ্নে ব্রিকসকে পুরোপুরি পাশে পেয়েছে নয়াদিল্লি। ব্যতিক্রম চিন। সন্ত্রাসবাসের সমালোচনা করলেও, সরাসরি পাকিস্তান প্রসঙ্গের ধারেকাছেও ঘেঁষেনি বেজিং। পাক জঙ্গি মাসুদ আজাহারকে রাষ্ট্রসংঘের জঙ্গি-তকমা দেওয়াও ঝুলে রয়েছে চিনের আপত্তিতে। এদিন তাই আহজার ইস্যুতে সুকৌশলে চিনকে বার্তা দিয়ে রাখেন প্রধানমন্ত্রী। আরও একবার পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে মোদির বক্তব্য, ‘সন্ত্রাসবাদীদের পুরস্কার নয়, শাস্তি দিতে হবে ৷’
ব্রিকসের সদস্য রাষ্ট্রগুলির কাছে সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও শিশু ও মহিলা পাচার এবং সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আর্জি করেন ৷
প্রথমে সার্ক। এবার ব্রিকস। পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে আরও একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চকে পাশে পেয়ে গেল নয়াদিল্লি। কিন্তু চিন কাঁটা তুলতে এখনও বেশ বেগ পেতে হবে সাউথ ব্লককে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: 8th BRICS Summit, BRICS Summit 2016, India Pakistan, Pakistan, PM Narendra Modi, Terror Issue