ভিন্ড: কথিত আছে যে, যিনি ভক্তির চেতনায় ডুব দেন, তারপর ঐশ্বরিক শক্তির সামনে সমস্ত মায়া ভুলে যান৷ উত্তরপ্রদেশের সাহির আউরিয়ার বাসিন্দা ধ্রুবদাস বাবা গত ত্রিশ বছর ধরে পায়ে হেঁটে তীর্থযাত্রা করছেন। বছর মহারাজ সারা দেশে মন্দির পরিদর্শন করেছেন। এই মহারাজের একটি ডায়েরি আছে, যাতে তিনি তার সব ভাল-মন্দ কাজের হিসাব লেখেন, জেনে নিন সন্ন্যাসী বাবার মজার গল্প।
আসলে ধ্রুবদাস মহারাজের মা শৈশবেই চলে গিয়েছিলেন, যার কারণে তিনি মায়ের আদর পাননি। তাই তিনি কেবল ঈশ্বরকে ভালবাসতে শুরু করেছিল। তারপর এই বয়সে তিনি গুরু হয়ে অযোধ্যা ত্যাগ করেন, তারপর থেকে আজ পর্যন্ত মহারাজ বাড়ির সবকিছু ছেড়ে চলে যান। গত ত্রিশ বছরে ধ্রুবদাস মহারাজ দেশের সব মন্দিরে গিয়ে তীর্থযাত্রা করেছেন। তাঁর আশ্রম কোথাও তৈরি হয়নি। যেখানেই মন্দির পাওয়া যায়, সেখানেই তিনি থামেন। এই বাবা যখন তীর্থযাত্রা করতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের ভিন্ডে পৌঁছান, তখন তিনি নিউজ 18-এর সঙ্গে তাঁর গল্প শেয়ার করেন।
আরও পড়ুন - স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে কী পরিণতি তরুণীর, শুনলে শিউরে উঠতে হয়
আরও পড়ুন - বড় খবর! তিহাড় জেলে তীব্র অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল, দিতে হচ্ছে ইনসুলিন ও অক্সিজেন
ধ্রুবদাস মহারাজ পদযাত্রার সময় যেখানেই থেমে যান, সেখানেই থেমে যাওয়া থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত সব কিছুর বিবরণ ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ আছে। শুধু তাই নয়, খাওয়া-দাওয়া ছাড়াও কেউ তাকে গালাগালি করলে সেটাও একই ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ আছে।মহারাজ মন্দিরে গিয়ে একই ডায়েরি ভগবানের সামনে রাখেন। ডায়েরিতে যাঁর সম্পর্কে ভাল লেখা আছে, তাঁর পরিবারের জন্য আশীর্বাদ চেয়ে নেন বাবা আর যাঁর সম্পর্কে খারাপ লেখা আছে, তাঁকে সৎবুদ্ধি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি৷
ধ্রুবদাস মহারাজকে ভিন্ড থেকে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। মহারাজ বলেন এখান থেকে সরাসরি খাটুশ্যাম পায়ে হেঁটে যাবেন, তারপর সেখান থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যা নগরী যাবেন। এমন অবস্থায় পথে যেখানেই মন্দির পাওয়া যায়, সেখানেই তিনি থামেন। কেউ খাওয়া-দাওয়ার জন্য যা দেন, সেটাই খান। না দিলে অভুক্ত থাকেন। মহারাজ কখনো কোনো যানবাহনে ভ্রমণ করেন না।
ধ্রুবদাস মহারাজের বাবা নারায়ণদাস সাহির ওড়াইয়ার জমিদারর ছিলেন। গ্রামে তার প্রচুর জমি রয়েছে, সাধু মহারাজ জানান যে আজও তার পরিবারের ১১০ বিঘা জমি রয়েছে, যা তাঁর বাবার। তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি এই সব মায়া ত্যাগ করে ঈশ্বরের উপাসনা শুরু করেছি, ভালবাসা আর মায়া কখনও আমাদের সঙ্গে যায় না, ভাল কাজ সবসময়ই আমাদের সঙ্গে যায়, তাই আমরা সবকিছু ছেড়ে ঈশ্বরের পূজা শুরু করেছি।’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Viral News