#রামপুর: আমাদের দেশে এখনও এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যেখান কার মানুষ মানসিক ভাবে এখনও অনেকটাই পিঁছিয়ে রয়েছে। এমন কিছু জায়গা রয়েছে আজও সেখানে জাত-পাত সবার ওপরে। আমরা সভ্যতার চরম শিখড়ে পৌঁছে গেলেও এখনও অশিক্ষার অন্ধকার কাটেনি বেশ কিছু জায়গায়। তেমনই এক ঘটনা সামনে এল উত্তরপ্রদেশের রামপুরে। যা চমকে দিয়েছে সকলকে। রামপুরের এক কিশোরী চারজন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। চারজন যুবককেই নাকি ওই কিশোরী ভালোবেসে ফেলেছিল। আর তার জেরে এক ভয়ানক কাণ্ড ঘটাল গ্রামের পঞ্চায়েত।
জানা গিয়েছে ওই কিশোরী নাকি চারজন যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ওই চার যুবকের মধ্যে একজনের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠে তারা। এরপর সেখানেই লুকিয়ে থাকে পাঁচজন। এদিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে চায় কিশোরীর বাবা। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে থানায় যেতে দেওয়া হয় না ওই ব্যক্তিকে। এরপর শুরু হয় পাঁচ জনের খোঁজ। এবং জানা যায় কোথায় আছে তারা।
এরপর জোর করে তাদের গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে ওই চার যুবককে আলাদা আলাদা করে প্রশ্ন করা হয় যে কে ওই মেয়েকে বিয়ে করবে ! চার জন যুবকই বিয়েতে নারাজ হয়। এদিকে মেয়েটিকে প্রশ্ন করা হলেও সে কাউকেই বিয়ে করতে চায় না। তারা জানায় যে শুধু মাত্র ভালো বন্ধু তারা। কেউ প্রেম করছে না। কিন্তু সে সব কথা পঞ্চায়েত শোনেনি। ঠিক করা হয় লটারি খেলা হবে। এবং লাকি ড্রতে যে যুবকের নাম উঠবে, তার সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হবে কিশোরীর। সেই মতো চার জনের নাম লিখে একটি পাত্রে রাখা হয়। গ্রামের একটি বাচ্চাকে সেই পাত্র থেকে একটি কাগজ তুলতে বলা হয়। এবং যে নামটি ওঠে, তার সঙ্গেই মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হবে ঠিক করা হয়। যদিও এই সমস্ত বিষয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছে ওই কিশোরী। কিন্তু যেহেতু সে চারজন যুবকের সঙ্গে গিয়েছিল, কাউকে কিছু না জানিয়ে, তাই এটাই তাকে শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয়। তবে গ্রামবাসীরাও এই বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি। পঞ্চায়েতের রায় মেনে নিয়েছে কিশোরীর পরিবার। তাদের কথায় চার জনের সঙ্গে তো বিয়ে দেওয়া যাবে না, তাই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন সকলে।