#লখনৌ: নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে আগুন জ্বলছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে৷ আজ অর্থাত্ শুক্রবার ফিরোজাবাদে পুল্শের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হল ১ জনের৷ উত্তরপ্রদেশের বেশির ভাগ শহরেই পুলিশকে লক্ষ করে পাথ, ইট ছুড়ে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা৷ ফিরোজাবাদ, কানপুরে একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৬ জন৷
#WATCH Bahraich: Police resort to lathi-charge to disperse the protesters who were demonstrating against #CitizenshipAmendmentAct. pic.twitter.com/EXtkD61xJO
— ANI UP (@ANINewsUP) December 20, 2019
উত্তরপ্রদেশের ভাদোনি, বাহরাইচ, ফারুকাবাদ, গোরক্ষপুর, সম্ভলে বৃহস্পতিবারের মতো আজও রণক্ষেত্র চেহারা নেয় আন্দোলন৷ ফিরোজাবাদের মৃত্যু সহ এই গত ২৪ ঘণ্টায় নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ২ জনের মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশে৷ একজনের মৃত্যু হয়েছে লখনৌয়ে৷ পুলিশ জানিয়েছে, কাঁদানে গ্যাস, ক্যান বহু জায়গায় ব্যবহার করতে হয়েছে৷ কয়েকজন পুলিশকর্মী মারাত্মক আহতও হয়েছেন৷ বিক্ষোভকারীরা হিংসাত্মক ভাবে আন্দোলন করছে৷ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে, আলিগড়, মউ, আজিমগড়, লখনৌ, কানপুর, বেরেলি, শাহজাহানপুর, গাজিয়াবাদ, বুলন্দশহর, সম্ভল ও এলাহাবাদে৷
#WATCH Meerut: Protesters pelt stones at police personnel during demonstration against #CitizenshipAmendmentAct at Lisari Gate pic.twitter.com/w46uD2GCSQ — ANI UP (@ANINewsUP) December 20, 2019
তবে বাকি অংশের তুলনায় লখনৌ ও আলিগড়ে আজ তুলনামূলক শান্ত ছিল পরিস্থিতি৷ লখনৌ মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে৷ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জেলা গোরক্ষপুরের অবস্থাও শোচনীয়৷ পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে ইট, পাথর ছুড়ছে উত্তেজিত জনতা৷ গোরক্ষপুরে সব জায়গায় নামানো হয়েছে পুলিশ৷
#WATCH Bulandshahr: Vehicle torched during demonstration against #CitizenshipAmendmentAct; heavy police presence at the spot. pic.twitter.com/GphfhcWO7H
— ANI UP (@ANINewsUP) December 20, 2019
বুলন্দশহরের জেলাশাসক রবীন্দ্রকুমারের কথায়, 'আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে৷ আজ দুপুর ৩টে থেকেই বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত৷'
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, সেই সব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের জেরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন৷ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ১২ মাস টানা ভারতে থাকতে হত৷ একই সঙ্গে গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ভারতবাস জরুরি ছিল। সংশোধনী বিলে দ্বিতীয় নিয়মে পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্থান থেকে আনা নির্দিষ্ট ৬টি ধর্মাবলম্বীদের জন্য ১১ বছর সময়কালটিকে নামিয়ে আনা হচ্ছে ৬ বছরে। বেআইনি অভিবাসীরা ভারতের নাগরিক হতে পারে না। এই আইনের আওতায়, যদি পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া কেউ দেশে প্রবেশ করে থাকেন, বৈধ নথি নিয়ে প্রবেশ করার পর নির্দিষ্ট সময়কালের বেশি এ দেশে বাস করে থাকেন, তা হলে তিনি বিদেশি অবৈধ অভিবাসী বলে গণ্য হবেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।