বিহার: পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু ঘটে যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মেলে না। যেমন, বিহারের সারণ জেলার বুড়িমা-র মন্দিরের মহিমা সকলেই জানেন। লোকবিশ্বাস, এখানে ভক্তরা নিজের মনের কথা শুদ্ধ চিত্তে নিবেদন করলে, ব্রত-আচার পালন করে প্রার্থনা করলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে আসেন । বুড়িমা খুব জাগ্রত বলেই মনে করেন সকলে। এলাকার মানুষের বিশ্বাস, যদি কেউ এই মন্দিরের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন তাহলে সেই ব্যক্তির সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে যা সহ্য করা যায় না।
এই লোকবিশ্বাসের হাত থেকে রেহাই পায়নি রেল কর্তৃপক্ষও। এক সময় রেলওয়ের তরফ থেকে মন্দিরটি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। বাধ্য হয়ে ঘুরিয়ে দিতে হয় রেলপথই। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মন্দিরটি সংস্কারও করে দেন। শত বছরের পুরনো অশ্বত্থ গাছও রয়েছে এই মন্দিরের চত্বরে। এই গাছেরও রয়েছে আলাদা ইতিহাস। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, এই অশ্বত্থ গাছ কাটলে রক্তপাত হয়। কেউ কাটার চেষ্টা করলে তার ক্ষতি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রেলের জমিতেই মায়ের দরবার স্থাপিত। সেই কারণেই একবার রেল প্রশাসনের তরফ থেকে মন্দির সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্দির সরানোর আগে ওই চত্বরের গাছ কাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গাছ কাটতে গিয়ে দেখা যায় গাছের ডাল থেকে রক্ত বের হচ্ছে। গাছ কাটার কাজে নিযুক্ত রেল শ্রমিকরা ভয় পেয়ে যান। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকি ওই এলাকায় রেললাইন পাতার কাজও সফল হয়নি। এরপর রেলওয়ে প্রশাসন ওইখানে কাজ বন্ধ করে দেয়। বরং ওই এলাকায় মাটি ফেলিয়ে রেল প্রশাসন জায়গাটির উন্নতি করে। পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয় বুড়িমার মন্দির।
সেবার বুড়িমার প্রভাবের সামনে মাথা নত করেছিল রেল প্রশাসন। এবার ফেল রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এবারও মন্দির সরানোর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে বরং মন্দিরের সামনে থেকে ঘুর পথে পাতা হচ্ছে রেললাইন। ফলে দু’পাশে রেললাইন থাকছে। আর তার মাঝখানে থাকছে মন্দির। ওই এলাকার সৌন্দর্যায়নের কাজও করছে রেল প্রশাসনই। লাগানো হয়েছে নতুন গাছ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bihar