#ওড়িশা: করোনা মোকাবিলায় গোটা দেশজুড়ে লকডাউন। প্রথম দফার লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক পথে নেমেছেন। সমস্তরকম যান চলাচল ছিল বন্ধ, পায়ে হেঁটেই মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দিয়ে কেউ বাড়ি পৌঁছেছিলেন, কারও মৃত্যু হয়েছিল রাস্তাতেই। রূপায়া টুডু। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় নিজের বাড়ি ছেড়ে, স্ত্রী-সন্তনাদের নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন জাজপুর, ইঁটের ভাটায় কাজ করতে। আচমকাই ধূমকেতুর মত আছড়ে পড়ল লকডাউন। কাজ বন্ধ, এক পয়সা রোজগার নেই। বাড়ি ভাড়া দিতে না পাড়ায় মাথা গোঁজার আস্তানাটুকুও গিয়েছে! এই পরিস্থিতিরে ওড়িশায় বাড়ি ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না রূপায়ার কাছে। ১৬০ কিলোমিটার দূরের বাড়ি হেঁটেই যাবেন ঠিক করেন।
৬ বছরের মেয়ে পুষ্পাঞ্জলি মায়ের হাত ধরে হাঁটতে পারবে, কিন্তু সমস্যা হল ৪ বছরের আর আড়াই বছরের ছেলে দুটোকে নিয়ে! ওইটুকু দুধের সন্তান কি আর অতটা পথ পায়ে হাঁটতে পারে ? কোলে করেই বা কতদূর হাঁটা যায়! অতঃপর এক উপায় বের করলেন রূপায়া। একটি বাঁকের দুদিকে বসালেন চার আর আড়াই বছরের দুই ছেলেকে, তারপর হাঁটা শুরু করলেন বাবা। তাঁর ভাষায়, ' কাছে এক পয়সা নেই, ইটভাঁটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফিরে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। হেঁটেই ফিরব ঠিক করি। ৭ দিন হেঁটেছি। বাঁকে ছেলেদের নিয়ে হাঁটতে খুব যন্ত্রণা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সন্তানদের জন্যে এটুকু তো করতেই হবে।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।