#নয়াদিল্লি: বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে মামলার জল গড়ালো সুপ্রিম কোর্টে। দিল্লি হাইকোর্ট গত সপ্তাহে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে শুনানি হয়। যদিও দুই বিচারপতি ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারায় মামলার চূড়ান্ত রায় দান করা যায়নি। আজ বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন মামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম খুশবু সইফি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বৈবাহিক ধর্ষণ কে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার দাবিতে মামলা দায়ের করেছিলেন আরেক ব্যক্তি এবং দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্টের শুনানি বৈবাহিক ধর্ষণ কে অপরাধ হিসেবে দেখেন বিচারপতি রাজীব সাকধের। তাঁর মতে, ভারতীয় দণ্ডবিধিতে স্বামীদের বৈবাহিক ধর্ষণের ক্ষেত্রে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা অসাংবিধানিক। এতে বৈষম্যের বিষয়টি আরও প্রকট হয় এবং তা সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সমান অধিকার রক্ষার পরিপন্থী। যদিও বিচারপতি সি হরিশংকর ভিন্নমত দেন। তাঁর মতে, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ দুই পুরুষ ও নারীর মধ্যে হস্তক্ষেপ করে বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধের তালিকায় ফেলতে পারেনা আদালত। তবে সে ক্ষেত্রে স্ত্রীয়ের বয়স ১৫ বছরের বেশি হতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফিরহাদের নয়া দাবি, ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি
এর আগে ২০১৭ সালে হলফনামা দিয়ে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দাবি, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠান ভঙ্গুর হয়ে যাবে এবং স্বামীদের হেনস্থা করার একটি হাতিয়ার হয়ে উঠবে। পরে আবার কেন্দ্র জানায়, আগেরবারের মত পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। চলতি বছরেই কর্নাটকের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন মন্তব্য করেন, ধর্ষক যেই হোক না কেন, সেটা অপরাধই, স্বামী হলেও তা অপরাধ।
আরও পড়ুন - মাটির তলায় লুকিয়ে আছে ২২টি কুঠুরি! তাজমহল নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করল এএসআই
আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার এবং অন্যান্য বিভিন্ন মহলের মতামত চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তাদের উত্তরের অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেই জবাব না আসা পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন জানান তুষার মেহতা। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি শেষবার ধর্ষণ আইন এবং বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে শুনানি হয়। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর রায়দান স্থগিত করে দেয় হাইকোর্ট। গত ৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারকে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য দু সপ্তাহের সময় দেয় আদালত। যদিও আরও সময় চায় কেন্দ্র। হাইকোর্টের মন্তব্য, "যদি আপনারা ভেবে থাকেন, আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করা দরকার, তাহলে সেটা হবে না।"
RAJIB CHAKRABORTY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Supreme Court