#নয়াদিল্লি: শেষ মুহুর্তে বদলে গেল সূচি। কথা ছিল মতুয়া-গড় বনগাঁয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার কাউন্টার সভা করবেন অমিত শাহ। কিন্তু আপাতত জানা যাচ্ছে, অমিত শাহের কর্মসূচিতে উত্তর চব্বিশ পরগণাই নেই।
রাজ্যে ১৯ ডিসেম্বর পা রাখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর প্রথম দিন মেদিনীপুরে যাবেন তিনি। পরদিন রবিবার তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে বোলপুরে।
দিন কয়েক আগেই ঠাকুরনগরে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাগরিকত্ব ইস্যুতে স সেখান থেকেই তিনি তোপ দাগেন দেশের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। স্পষ্টভাষায় তিনি বলেন, এই রাজ্যে থাকতে কোনও শংসাপত্রের দরকার নেই। এই ঘটনা থেকেই মনে করা হচ্ছিল,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর ফেরাতে পারেন মতুয়াদের ঘর থেকেই। কিন্তু সেই সূচিতেই বদল আসছে।
অমিত শাহ ঠাকুরনগর আসতে পারেন এমন সম্ভাবনা তৈরি হতেই নানা প্ৰশ্ন ঘুরছিল। মতুয়া সম্প্রদায়কে কী বোঝাবেন শাহ,কোন অস্ত্রে বিঁধবেন রাজ্যের শাসক দলকে, সেই দিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকে।
তবে ঠাকুরনগরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঝড় তুলতে পারেন জানুয়ারিতে। শনিবারই কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপির হঠাৎ ঠাকুরবাড়ি তরফে যান। শোনা যাচ্ছে, মন্ত্রীসভায় রদবদলে স্থান হতে পারে শান্তনুর, কথা হয়েছে এই মর্মে। তাছা়ড়া সেখান থেকেই তিনি জানান জানুয়ারিতেই কার্যকর হবে সিএএ। ভোটের মুখে কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতাদের রাজ্যে যাতায়াত লেগেই রয়েছে। কাজেই বিজেপির বড় অংশ মনে করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা বার্তা দিতে মতুয়াগড়ে দাঁড়িয়ে জানুয়ারিতে এই ঘোষণা দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই।
অন্য দিকে অমিত-সফরের জন্য শান্তিনিকেতনকেও বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে সাতপাঁচ ভাবনা। সূত্রের খবর, বীরভূম যাওয়ার পথে একটি স্ট্রিট কর্নারেও অংশ নেবেন শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাস্তার ধারে বক্তৃতা রাখছেন এমনটা অতীতে দেখা যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধাঁচেই ময়দানি রাজনীতি করতে মরিয়া শাহ। তাই এই চমক। পাশাপাশি পাঁচিল কাণ্ডের পর বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কথা বলতে পারেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে।