এলাহাবাদ: ঐতিহাসিক এক বক্তব্য পেশ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হল, ‘বৈবাহিক জীবনে সঙ্গী যদি কোনও নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অপর সঙ্গীকে যৌনতায় লিপ্ত হতে না দেয়, তা হলে তা মানসিক অত্যাচার বা হিংসার সমান৷’ একটি বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে করা মামলার ভিত্তিতে এই মত প্রকাশ করল আদালত৷
এক প্রাক্তন পুলিশকর্মী এই বিষয়ে আদালতে একটি মামলা করেছিলেন৷ সেই মামলায় তিনি বলেছিলেন, তাঁর বিয়ে হয়েছিল ১৯৭৯ সালে৷ বিয়ের পর নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে কয়েক দিন পরে তাঁর স্ত্রী বাড়িতে আসেন৷ কিন্তু বাড়িতে আসার পর থেকে তাঁদের মধ্যে কার্যত কোনও সম্পর্কই ছিল না৷ এক ছাদের তলায় থাকলেও তাঁদের কোনওরকম শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি৷ দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক তৈরি করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন স্ত্রী৷
এর পর হঠাৎই একদিন তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান৷ অভিযোগকারী পুলিশ কর্মীর ছিল বদলির চাকরি৷ তিনি নানা স্থানে থাকতেন৷ শেষে একেবারে নির্দিষ্ট একটি শহরে এসে তাঁর স্ত্রীকে সেখানে চলে আসতে বলেন৷ কিন্তু স্ত্রী শেষ পর্যন্ত আসতে চাননি৷ এর পরেই ১৯৯৪ সাল নাগাদ তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, উভয়ের সন্মতিতে৷ তার পর খবর আসে, ওই মহিলা ফের এক বার বিবাহ করেছেন৷
ওই পুলিশকর্মী তখন ডিভোর্সের ডিক্রি দাবি করেন মানসিক হিংসা-সহ একাধিক বিষয় দেখিয়ে৷ কিন্তু একাধিক বার আদালত সময় দেয়, একাধিক বার আদালতের শুনানিতে হাজির হতে বলে, কিন্তু ওই মহিলা শেষ পর্যন্ত হাজির হননি৷ তার পর পরিবার আদালত এই মামলাটি খারিজ করে দেয়৷ সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই ব্যক্তি৷ উচ্চ আদালতে এই মামলা গেলে শেষ পর্যন্ত মামলার প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Marriage