হায়দরাবাদ: মোটরসাইকেলে রিয়ারভিউ মিরর না থাকলেই করা হচ্ছে জরিমানা। এর আগে দিল্লি পুলিশ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এবার হায়দরাবাদ পুলিশও সেই পথে হেঁটেই কড়াকড়ি শুরু করেছে। এর জেরে সাধারণ মানুষের মনে হচ্ছে যে, তাদের উপর অতিরিক্ত চালানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা একেবারে নিষ্প্রয়োজন।
১৯৮৮ সালের সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেলস আইনের ৫ এবং ৭ ধারার অধীনে বলা রয়েছে যে, মোটরসাইকেল বা বাইকে সব সময় দুটি রিয়ারভিউ মিরর থাকতেই হবে। তবে অভিযোগ, কোনও দফতরই এত দিন পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও রকম কড়াকড়ি করেনি। যার জেরে বহু মোটরসাইকেল চালক নিজেদের বাইক থেকে রিয়ারভিউ মিরর সরিয়ে দিয়েছেন। অথচ সেই নিয়ম আচমকাই লাগু করা হচ্ছে। এই ধরনের অভিযোগের জবাবে এক পুলিশকর্মী বলেন যে, ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মোটর চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পশ্চিম দিল্লি পুলিশ বিভাগের তরফে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সাফ বলা হয়েছিল যে, রিয়ারভিউ মিরর ছাড়া মোটরসাইকেল পথে নামলে চালককে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
একই পরিস্থিতির সম্মুখীন এখন হায়দরাবাদও। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানকার মানুষ সন্তুষ্ট নয়। এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী জানান যে, নিজেদের পকেট ভরার জন্য এই ধরনের চালান কাটছে পুলিশ। রিয়ারভিউ মিরর না থাকার কারণে ১৩৫ টাকা করে চালান সংগ্রহ করে জনসাধারণকে ভোগান্তির মুখে ফেলছে পুলিশ। মূলত সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনারেটই প্রথমে এই পথ দেখিয়েছে। এবার সেই পথই অনুসরণ করছে হায়দরাবাদ পুলিশ কমিশনারেটও।
আরও পড়ুন- করোনার ওষুধ আবিষ্কার হয়ে গেল! কবে থেকে আসছে বাজারে, জেনে নিন
আরও পড়ুন-করোনার পর আবার এক ভাইরাসের দাপাদাপি! বাঁচতে হলে ভ্যাকসিনই একমাত্র ভরসা!
পুলিশ জানাচ্ছে যে, মোটর ভেহিকেল আইন মূলত চালকদের নিরাপত্তার জন্যই বানানো হয়েছে। ট্রাফিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং পথ দুর্ঘটনা কমাতে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বেশির ভাগ মোটরসাইকেল চালকই জানেন না যে, রিয়ারভিউ মিরর ছাড়া বাইক চালানো আইনবিরুদ্ধ। এই আয়নার সাহায্যে বোঝা যায় যে, বাইকের পিছনে কী আসছে। লেন বদল করার ক্ষেত্রেও সহায়ক এই আয়না। ফলে রিয়ারভিউ মিরর থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।