#মুম্বই: শেষ ২৪ ঘণ্টায় একজনও নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়নি মুম্বইয়ের ধারাভিতে৷ চলতি বছর শুরুর দিকে করোনা মহামারী থাবা বসিয়েছিল ভারতে৷ তারপর এই প্রথম এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তি এলাকায় শুক্রবার পর্যন্ত একজনেরও করোনা পজিটিভের খবর মিলল না৷ আর অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১২-তে নেমে এসেছে
মুম্বইয়ের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা ও বিশ্বের সবচেয়ে ঘন জনবসতি পূর্ণ বস্তি ছিল করোনার অন্যতম হটস্পট৷ আর যেভাবে এখানে একের পর এক ঘর গা ঘেঁষাঘেঁষি করে রয়েছে, সেখানে করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল সবচেয়ে বেশি৷ তারওপর একই শৌচাগারে বহু মানুষ ব্যবহার করেন৷ ফলে এরকম একটা জায়গায় সামাজিক দূরীকরণের মতো শব্দবন্ধ ছিল দিবাস্বপ্নের মতো৷
স্বাস্থ্যকর্মী ও গবেষকদের আলাদা নজর ছিল ধারাভির দিকে৷ শুধুমাত্র তাঁদের ততপরতায় ধারাভিতে করোনার সংক্রমণ ছড়াতে পারেনি৷ সময় মতো আইসোলেশন ও করোনা পরীক্ষার জন্যই ধারাভিতে করোনা ছিল নিয়ন্ত্রণে৷ গত ২৬ জুলাই করোনাতে ২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল৷ তার পরের মাসে সংখ্যাটা আবার বাড়ে৷ পরবর্তীতে এই ধারাভিই হয়ে ওঠে করোনার সফল 'কনটেন্টমেন্ট মডেল'৷ এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধারাভির প্রশংসা করেছে৷
মহারাষ্ট্র সরকারের কঠোর লকডাউনের কৃতিত্বও দিতে হবে৷ প্রয়োজনীয় সেবার সঙ্গে যুক্ত বাসিন্দাদের ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে পা রাখতে দেয়নি প্রশাসন৷ এসবরেই সুফল মিলেছে৷ শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৮০, মোট আক্রান্ত ১৯ লক্ষ ৫১ হাজার৷ উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে ৪৯ হাজার মানুষের৷
দেশের মধ্যে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল মহারাষ্ট্র। প্রথম ধাপে মুম্বই শহর ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় ভাইরাস সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছিল। যদিও সেখানকার পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ব্রিটেনের করোনাতঙ্কে ভয় ধরিয়েছে মুম্বইয়ের বুকেও৷
কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না আরব সাগরের তীরবর্তী রাজ্যটি৷ মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে যে, সেই রাজ্যের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত প্রতিটি জায়গায় নাইট কারফিউ জারি থাকবে৷ মঙ্গলবার অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই কারফিউ৷ রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সময় ধার্য করা হয়েছে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।