#নয়াদিল্লি: শুধু জাতীয় নিরাপত্তা দিবস বা জাতীয় নিরাপত্তা সপ্তাহ নয়, পথ চলাচলের সময়ে সতর্ক থাকা উচিৎ বছরের প্রত্যেকটা দিনে। আর সেই অভ্যাস রপ্ত হওয়া উচিৎ একেবারে ছোটবেলা থেকে। পথদুর্ঘটনা থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে তাকে কয়েকটা নিয়ম না শেখালেই নয়!
১. ট্রাফিক লাইটস
একেবারে ছোট থেকেই ট্রাফিকের কোন লাইটের কী মানে, সেটা তাকে শিখিয়ে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে ছোট থেকেই পথ নিরাপত্তার একটা বোধ শিশুর মনে গেঁথে যাবে।
২. জেব্রা ক্রসিং
রাস্তা পার হওয়ার সময়ে কেন জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করা উচিৎ, সেটা বিশ্লেষণ করে অভ্যেস করিয়ে দিতে হবে। তাতে শিশুর দুর্ঘটনায় পড়ার সম্ভাবনা কমবে।
৩. চলন্ত যান থেকে হাত, মাথা বের না করা
গাড়িতে ভ্রমণ করার সময়ে যে জানলা দিয়ে হাত, মাথা বের করতে নেই, সেটা তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে ভালো করে।
৪. সিটবেল্ট পরা
অনেক শিশুই কোথাও যাওয়ার সময়ে ড্রাইভারের পাশে গাড়ির সামনের সিটে বসতে চায়। এক্ষেত্রে সিটবেল্ট পরাটা তাকে অভ্যাস করিয়ে দিতে হবে।
৫. হেলমেট পরা
হেলমেট পরলে গরম লাগে বলে অনেক শিশুই তা এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু ছোট থেকেই এই অভ্যেসটা তাকে ধরাতে হবে, যাতে বড় হয়ে ভুল না হয়।
৬. ফুটপাথ ব্যবহার
রাস্তা দিয়ে না হেঁটে সব সময়ে শিশুকে ফুটপাথ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সজাগ করতে হবে।
এই নিয়মগুলো যে আপনি জানেন না, এমনটা কিন্তু নয়! তাও বার বার মনে করিয়ে দেওয়ার অর্থ একটাই- পরিবারের শিশু সুনাগরিক হয়ে উঠুক, তার জীবন হোক সুরক্ষিত। কেন না, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মোট ৪,২১, ১০৪ মানুষের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। পথদুর্ঘটনা থেকে শুরু করে নানা রকমের দুর্ঘটনা ও বিপর্যয়ের স্বীকার হয়েছেন দেশের অগণিত মানুষ। যা আজও ক্রমবর্ধমান। তবে এই পরিস্থিতিতে বদল আনতে নিরন্তর লড়াই করছে সরকার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল সেফটি কাউন্সিল (NSC)। পরিসংখ্যান বলছে যে অধিকাংশ সময়েই ট্রাফিক রুল ভেঙে বহু মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তাই এই প্রাথমিক দিকটা যাতে মজবুত থাকে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতেই হবে!