বামফ্রন্ট এবং কংগ্রসকে তীব্র আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদি। শনিবার ত্রিপুরায় বিধানসভার নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে ছিল ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রশংসাও। তিনি বলেন, "বামেদের সময়ে রেশন চাইত মানুষ৷ আর সেই রেশন লুঠ করে নিত বামেরা। আপনারা বাম সরকারকে হঠিয়েছেন। আর তার সুবিধা গোটা রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারছেন।আমাদের সরকার দিল্লি থেকে টাকা পাঠাত৷ আর বামেদের সরকার চাইত না এখানের মানুষ বাড়ি পাক, একটা নিজের ঘর পাক। আমরা এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে, তিন লাখ মানুষকে বাড়ি বা ঘর দেওয়া হয়েছে৷ যে সব গরিব মানুষের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি মেলেনি, তারা সেই বাড়ি পাবেন শীঘ্রই। আমার কথা বিশ্বাস করুন। কাউকে ঝুপড়িতে থাকতে হবে না৷ বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে৷ সেই অর্থে ঘর পাওয়া যাবে৷ এই ঘর আমার মা-বোনেদের নামে হবে৷ তাঁরা প্রথমবার ঘরের মালিক হয়েছেন৷ ত্রিপুরায় সামাজিক ভাতা বাড়ানো হয়েছে৷ ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করা হয়েছে৷ আমরা একলব্য স্কুল চালু করছি এখানে। আমরা আদিবাসী কল্যাণে জোর দিচ্ছি। কংগ্রেস ও সিপিএম যখন একসঙ্গে দিল্লিতে সরকার চালাত, তখন বাজেট ছিল ২৫ হাজার কোটি আদিবাসীদের জন্য। এখন আমরা সেটা এক হাজার কোটি করেছি।"
নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর আরও সংযোজন, "জনজাতি সমাজ আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপিকেই সমর্থন করে। এই তো কিছুদিন আগেই গুজরাত ভোটে তারা আমাদের সমর্থন করেছে। ত্রিপুরাতেও আমরা সেটা দেখতে পাচ্ছি। এখন কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা যায়৷ এখন আর ফসল বিক্রির টাকা চাঁদা দিতে হয় না। এখন ফল, সবজি যাচ্ছে বিদেশে।
আরও পড়ুন : কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দান করে সন্ন্যাস নিচ্ছেন ধনকুবের ব্যবসায়ী পরিবার
দেশের পর্যটন মানচিত্রে ত্রিপুরাকে তুলে ধরার প্রসঙ্গও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, "ত্রিপুরায় পর্যটনের প্রভূত সম্ভাবনা আছে৷ এখানে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির, ভুবনেশ্বরী মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, শিব মন্দির আছে। পর্যটনের বিকাশ করতে পারবে বিজেপিই। ডাবল ইঞ্জিন সরকার সেই কাজ করবে। রোজগার বাড়াতে দরকার ডাবল ইঞ্জিন সরকার। কোভিড পরিস্থিতিতে এই রাজ্য বেঁচে গেছে। কারণ বিজেপি সরকার কাজ করেছে। যদি বাম সরকার থাকত, তাহলে কত পরিবার তাদের আত্মীয়কে হারাত৷ ভোট দিতে যাওয়ার আগে মনে রাখবেন, বাম-কংগ্রেস কোনওদিন গরিবদের মনে রাখেনি৷ এদের শাসনকালে গরিবরা মারা গেছে। শ্রমিকদের থেকে লুটে নিয়েছে। আর কয়েকজন ফুলেফেঁপে উঠেছে। যেখানেই কংগ্রেস, সিপিএম থেকেছে সেখানেই গুন্ডামি বেড়েছে৷ এদের কাজ একে অপরের সঙ্গে লড়িয়ে দেওয়া৷ এরা কেরলে কুস্তি করে, আর ত্রিপুরায় দোস্তি করে। এদের কে ভরসা করবে?"
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত মোবাইল দেখে দৃষ্টিশক্তি হারালেন তরুণী, সতর্ক হোন আপনিও
নির্বাচনী প্রচারে বাম-কংগ্রেসকে আক্রমণ করে ত্রিপুরাবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, " আপনারা শুধু বিজেপিকে ভোট দিন। আমি বার বার ত্রিপুরা এসেছি৷ আপনারা আমাকে দিল্লিতে বসিয়েছেন। আমি ত্রিপুরার সেবা করতে একদিনও পিছিয়ে যাব না। গ্রামে গ্রামে প্রচুর মানুষ আছেন, তাদের সঙ্গে সময়ের অভাবে আমার দেখা হয় না। তাদের বাড়ি বাড়ি যান। আর আমার হয়ে প্রণাম জানিয়ে আসুন। ওনাদের আশীর্বাদ আমার চাই। তাহলে দিল্লি থেকে মানুষের আরও সেবা করতে পারব।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।